অবিরাম বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই, তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে
একটানা দু’সপ্তাহ তীব্র গরম। তারপরে বুধবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝড় ও বৃষ্টি হয়। ফলস্বরূপ, বৃহস্পতিবার সকালে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। আকাশে মেঘ ছিল। তবে, দিন যত বাড়ছে ততই সূর্যের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন শুক্রবারেও ঝড়ো হাওয়া হতে পারে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে সকাল অবধি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশে সর্বাধিক ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর ও মাদারীপুরে ১২ মি:লি, টাঙ্গাইলে ১১ মি:লি, বগুড়ায় ১০ মি:লি, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৮ মি:লি, ঈশ্বরদী ও ঢাকার ২ এবং ভোলায় ১ মি:লি বৃষ্টি হয়েছে। যদিও বৃষ্টিতে উত্তাপের তীব্রতা কিছুটা কমেছে তবে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে এখনও তাপের তীব্রতা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অধিদফতর শুক্রবার সন্ধ্যায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টি বা বজ্রপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানান, এই গ্রীষ্মে প্রথমবারের মতো দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কালবৈশাখী প্রবাহিত হয়েছে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝড়ের সম্ভাবনা ২ মে থেকে ৪ মে পর্যন্ত রয়েছে।
এই সময় তাপমাত্রা ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের থেকে কিছুটা কম হতে পারে। তবে দেশে এখন টানা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, বর্তমানে কোনও ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা নেই।