ভ্রমণবিলাসে ব্যস্ত নেপালের টেবিল টেনিসের কর্তারা
বছরতিনেক আগে সাউথ এশিয়ান টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের বিভাগে স্বর্ণ জিতেছিলেন রামহীম বম লিয়ন, মো. হৃদয়রা। ২০২৩ সালে দুটি করে রুপা ও ব্রোঞ্জ জিতে এশিয়ান যুব টিটি চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন লাল-সবুজের যুবারা। এবার সেই স্বপ্ন সত্যি হলো না। নেপালে চলমান এই টুর্নামেন্টে শ্রীলংকার কাছে হেরে এশিয়ান টিটিতে যেতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ এশিয়ান যুব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে (অনূর্ধ্ব-১৯) ছেলে-মেয়ে দলগত দুই বিভাগেই ব্রোঞ্জ জিতেছে বাংলাদেশ। নেপালে পাওয়া এই পদক এক অর্থে পরাজয়! দলগত বিভাগের খেলা শেষ হতেই বাংলাদেশের এশিয়ান যুব চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ালিফাই করার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। ২০২৪ থেকে এশিয়ান যুব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-১৯ বালক বিভাগে দুটি দল কোয়ালিফাই করার সুযোগ থাকায় গত বছর বাংলাদেশ খেলেছিল। এবার সহজ সুযোগ পেয়েও ফল হতাশাজনক।
সূত্রে জানা গেছে, ফেডারেশনের ছয় কর্তা ও তাদের পরিবারের লোকজন নেপাল গেছেন। এমন ফল নিয়ে সাবেক তারকা খেলোয়াড় ও বর্তমানে ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক নাসিমুল হাসান কচি কাঠমান্ডু থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেন, ‘আগের দলের রামহীম ও মো. হৃদয় বয়স বেশি হওয়ায় এবারের দলে নেই। হাসিব ডায়রিয়ায় ভুগছে। তাই ফল বাজে হয়েছে। অনুশীলনও ভালো হয়নি।’
দলে ১৪ জন বিকেএসপির খেলোয়াড়। কোচ মোস্তফা বিল্লাহর কাছে সারা বছর অনুশীলন করেন তারা। তারপরও এমন ফল কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে কচি বলেন, ‘আমরা মালদ্বীপ ও পাকিস্তানকে ৩-০ সেটের ব্যবধানে হারালেও শ্রীলংকার কাছে ৩-০ এবং দুর্ভাগ্যবশত স্বাগতিক নেপালের কাছে একই ব্যবধানে হেরেছি। তাই দুই বিভাগের দলগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।’ গত আসরে শ্রীলংকাকে ৩-২ সেটে এবং মালদ্বীপকে ৩-০ সেটে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।