• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিব

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রমহান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    মঙ্গলবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা শোক ও শোক প্রকাশ করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিলেন।

    বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

    তার দাফনের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

    এদিকে আজ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমানের প্রধান বক্তা হওয়ার কথা ছিল। তার মৃত্যুর কারণে সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।

    আবদুল্লাহ আল নোমান ১৯৯১ সালে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর, তিনি ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ষাটের দশকের শুরুতে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেন নোমান। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর চট্টগ্রামের সভাপতি ও মেনোনিস্ট ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

    ছাত্রজীবনের পর তিনি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে শ্রমিক রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল লেবার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ভাসানীপন্থী ন্যাপের রাজনীতিতেও জড়িত ছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি ন্যাপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। যুদ্ধের পর আবারও ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। জিয়াউর রহমান বিএনপি গঠনের পর ১৯৮১ সালে তিনি দলে যোগ দেন।

    Do Follow: greenbanglaonline24