রাখাইনের সঙ্গে সম্পর্ক আগে ছিল আছে এবং থাকবে -সাখাওয়াত হোসেন
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্ত সড়কটি আমি দেখেছি। স্থল বন্দর নির্মাণের জায়গাটি আমি দেখেছি। এর পরিকল্পনা আছে। আমরা ভবিষ্যতের দিকে নজর রাখব এবং দেখব সেখানে একটি স্থল বন্দর তৈরি করা যায় কিনা। কারণ, ভবিষ্যতে মায়ানমারে যা-ই ঘটুক না কেন, অতীতে রাখাইন রাজ্যের সাথে আমাদের সম্পর্ক ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যেহেতু রোহিঙ্গারা সেই অঞ্চলে আছে, তাই আমরাও তা দেখব এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করব যাতে সেখানে একটি স্থল বন্দর তৈরি করা যায়।
গতকাল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান এবং ঘুমধুম স্থল বন্দর পরিদর্শনের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি সকাল ১১টায় ঘুমধুম সীমান্ত সড়ক এবং স্থল বন্দরের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি টেকনাফ স্থল বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে যান।
ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে জলপথের চেয়ে স্থলপথ বেশি সুবিধাজনক। তাই ঘুমধুমে এশিয়ান ট্রান্সরোড দুই দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সহজ। মিয়ানমারের সাথে টেকনাফে আমাদের একটি বন্দর আছে, আমরা সেই জায়গাটি দেখব। তিনি আরও বলেন, “আপনারা জানেন কেন মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল। সেখানে কিছু আমদানি হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে বাণিজ্য পণ্যের আমদানি কিছুটা কমে গিয়েছিল, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। একই সাথে, ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্য স্থানে একটি স্থলবন্দর নির্মাণ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।” এ সময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মঞ্জারুল মান্নান, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল্লাহ ইয়ামিন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফারুক হোসেন খান সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শনকালে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, কক্সবাজারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে বাণিজ্য সচল রাখার চেষ্টা চলছে। তবে, ১৬ জানুয়ারী থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে যাওয়ার পথে পণ্যবাহী পণ্যবাহী নৌকা আটক করার পর জান্তা সরকার সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। যার কারণে, ২৩ দিন ধরে ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনও পণ্যবাহী নৌকা আসেনি। তিনি আরও বলেন, “আমরা টেকনাফ স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি এবং এটি একটি জাহাজ বন্দর, সমুদ্র বন্দর নাকি স্থলবন্দর হবে তা খতিয়ে দেখছি।” এছাড়াও, স্থলবন্দর ইউনাইটেড স্থলবন্দরে শ্রমিকদের কম মজুরি সহ বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আমরা অভিযোগ পেয়েছি, যা তদন্ত করা হবে।
Do Follow: greenbanglaonline24