কোম্পানীগ আলাউদ্দিনকে হত্যা ।কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের নির্দেশ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে।
বুধবার বিকেলে শুনানি শেষে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এস এম মোসলে উদ্দিন মিজান এ আদেশ দেন। পিবিআইকে ১ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। মামলার বাদীর আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করা হয়েছে কিনা তা আদালত পুলিশকে অবহিত করার নির্দেশ দিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি সোমবার আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এই প্রতিবেদনের আলোকে আদালত বুধবার বিকেলে শুনানি দেয়।
গত ৯ মার্চ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বসুরহাট পৌরসভা ভবনে এ ঘটনা ঘটে। আলাউদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন এবং ২০-২৫ জনসহ ৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হন। নিহত আলাউদ্দিন বাদলের অনুসারী ছিলেন। তবে তার পরিবার জানিয়েছে যে তিনি কোনও রাজনীতিতে জড়িত নন।
নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন রাজু কমপানীগঞ্জ থানায় গিয়ে আব্দুল কাদের মির্জা, তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন ও তার ছেলেসহ ১৬৪জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ মামলা না নেওয়ায় ১৪ ই মার্চ নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করা হয়। প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারক বাদীর অভিযোগের বিষয়টি গ্রহণ করেন।
পিবিআইয়ের নোয়াখালী অফিসের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী জানান, বুধবার বিকেল ৫ টা পর্যন্ত আদালতের আদেশের কোনো কাগজপত্র পাননি।