• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    কুমিল্লায় নাচ-গান নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন

    কুমিল্লায় একটি বিয়ের পার্টিতে গান নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষে দু’জন নিহত হয়েছেন।

    বুধবার রাত সাড়ে বারোটার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার আবদুল্লাহ পুর ইনসাফ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- আব্দুল্লাহপুর (জীবনপুর) গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে সাইফুল (১৮) এবং মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জুর গ্রামের রেণু মিয়ার ছেলে রহিম (২০)। সংঘর্ষে আরও ৮ থেকে ১০ যুবক আহত হয়েছেন।

    দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার বুড়ির পাড় গ্রামের প্রবাসী হোসেন মিয়া ৮ থেকে ৯ মাস আগে দেবিদ্বারের আবদুল্লাহপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী জাকির হোসেনের মেয়ে নাজমা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বৃহস্পতিবার ওই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল।

    বুধবার সন্ধ্যা থেকে কনের বাড়িতে নৃত্য ও গানের চলছিল। রাতে মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জুর গ্রামের রহিম, সজিব, মামুন ও আক্তার রাতে সেখানে নাচতে যান। তারা স্থানীয় যুবকদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

    ঝগড়ার কারণে রাত সাড়ে বারোটার দিকে গঞ্জুর গ্রামের যুবকরা বিয়ের বাড়ির কাছে আবদুল্লাহপুর ইনসাফ মার্কেটের সামনে স্থানীয় যুবকদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে সাইফুল ও রহিম মারা যান।

    আহতদের মধ্যে সজিব, মামুন ও আক্তার হোসেনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

    কনের মা সেলিনা আক্তার বলেন, “আমাদের গ্রামের অনেক ছেলে ছাড়াও আশেপাশের গ্রামগুলি থেকে অনেক ছেলে রাতে আমাদের বাড়িতে আসে। আমরা অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকি এবং তাদের কী হয়েছিল তা আমরা জানি না।” পরে লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি বাড়ির পাশের মার্কেটের সামনে মারামারি হয়ছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে দেবিদ্বার থানার ওসি মো। আরিফুর রহমান জানান, খবর পেয়ে গভীর রাতে তিনি ঘটনাস্থলে গেলে কোনও প্রত্যক্ষদর্শীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয় যুবকরা যারা নাচের জন্য এবং গান করতে বিবাহের বাড়িতে এসেছিলেন তাদের পাশের গ্রামের ছেলেদের অবস্থা জানতে তদন্ত করা হচ্ছে।

    তিনি জানান, এ ঘটনায় কনের বাবা জাকির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি। দুজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।

    মন্তব্য করুন