তীরে গিয়ে তরি ডুবল খুলনার, রংপুরের টানা ৭ জয়
শেষ ৩ ওভারে খুলনা টাইগার্সের মাত্র ২২ রানের প্রয়োজন ছিল, হাতে ৭ উইকেট ছিল। দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন আফিফ হোসেন এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে খুলনাও এই সমীকরণের সাথে তাল মেলাতে পারেনি। শেষ ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রানে রংপুর ৬ উইকেট তুলে নেয়। খুলনাকে ৮ রানে হেরে মাঠ ছাড়তে হয়। আর টানা ৭ জয়ের লক্ষ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রংপুর রাইডার্স।
১৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ ওভারের শেষে খুলনা তাদের প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে। দারুবিশ রসুলি ১৫ বলে ১৭ রান করে আউট হন। মোহাম্মদ নাঈম শেখ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রান যোগ করেন। দল ৯২ রান করার পর মিরাজ ৩৯ রান করে আউট হন। এই অলরাউন্ডার তার ২৪ বলের ইনিংসে ৩টি চার এবং ২টি ছক্কা মারেন।
তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নাঈম যখন আউট হন, তখন দলের রান ছিল ১৪ ওভার ৫ বলে ১৩৭। খুলনার ওপেনার ৪১ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫৮ রান করেন। দুর্দান্ত শুরু সত্ত্বেও, আফিফ হোসেন খুলনার হয়ে ম্যাচ শেষ করতে পারেননি। ১৫ বলে ২৯ রান করে তাকে বিদায় নিতে হয়। তার বিদায়ের পর খুলনার বিপর্যয় শুরু হয়। স্পিনার মেহেদী হাসান এবং দুই পেসার আকিফ জাভেদ ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বোলিংয়ে খুলনার ব্যাটসম্যানরা হতাশ হয়ে পড়েন। পরাজয়ের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
এর আগে, প্রথমে ব্যাট করে দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান খুশদিল শাহ এবং ইফতিখার আহমেদের ব্যাটিংয়ে ১৮৬ রানের বড় সংগ্রহ করে রংপুর। আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে, রংপুর শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি। অ্যালেক্স হেলসের অনুপস্থিতি ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছিল দল। হেলসের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া স্টিভেন টেইলর ১৩ রান করে আউট হন। ফর্মে থাকা সাইফ ১১ বলে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারানোর পর দল মাত্র ৩৯ রান করে।
ওপেনার তৌফিক খান তুষার ৩৬ রান করেন কিন্তু ৩০ বল খরচ করেন। ১১তম ওভারের তৃতীয় বলে তৌফিক আউট হন। দলের মোট রান ৭০। এরপর খুশদিল-ইফতিখার ৫৬ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। এই বিশাল জুটিতে ইফতিখারের অবদান ছিল মোট ৩০ রান। ইনিংস শেষ হওয়ার আগে বলেই আউট হন ইফতিখার। এরপর তিনি ৩৬ বলে ৪৩ রান করেন। তিনি ৫টি চার দিয়ে এই রান করেন।
অন্যদিকে, ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন খুশদিল। ৩৫ বলে ৭৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। তিনি ৪টি চার এবং ৬টি ছক্কা মারেন। রংপুরের ৫ উইকেটের মধ্যে ৪টি করে ভাগাভাগি করে নেন হাসান মাহমুদ এবং আবু হায়দার রনি। রংপুরের শেষ ব্যাটসম্যান সোহান রান আউট হন।
Do Follow: greenbanglaonline24