নারায়ণগঞ্জে পোশাক কারখানা পরিদর্শন করলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার নারায়ণগঞ্জে দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। বাংলাদেশে ইইউ প্রতিনিধি দলের বাণিজ্য উপদেষ্টা আবু সাইদ বেলাল তার সঙ্গে ছিলেন। সকাল ১১টায় রাষ্ট্রদূত প্রথমে জেলার মাদপুরে এপিলিয়ন গ্রুপের পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় নিট গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএতে যান তিনি।
সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এ সময় বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি ফজলে প্রমুখ।
এহসান শামীমসহ অন্যান্য নেতা ও গার্মেন্টস মালিকরা তার সঙ্গে কথা বলেন। বিকেএমইএ সভাপতি মাইকেল মুলারকে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের মান সম্পর্কে বিভিন্ন ধারণা দেন। পরে সংবাদ সম্মেলন করেন মুলারসহ বিকেএমইএ নেতারা।
এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আজ (গতকাল) আমি বাংলাদেশের নিটওয়্যার সেক্টর পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পোশাক উৎপাদনকারী দেশগুলোর একটি। আমি কারখানার মালিক ও কর্মচারীদের সাথে ইইউ-মাঙ্গা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলেছি। আমরা চাই বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীম বলেন, এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) গ্র্যাজুয়েশন হচ্ছে। আমরা তাদের একটি স্ট্যান্ডার্ড গ্রেস পিরিয়ডের জন্য বলেছি। নতুন জিএসপি আইনে সহযোগিতা করতে সময় লাগবে। নতুন গ্র্যাজুয়েশনে সেফ গার্ড আর্টিকেল ২৯ অনুযায়ী বাংলাদেশ অতিরিক্ত জিএসপি সুবিধা পাবে না। আমরা অনুরোধ করেছি যে এটি সংশোধন করা হোক এবং বাংলাদেশের অতিরিক্ত জিএসপি সুবিধা পাওয়ার বিষয়টি তাদের সংসদে আলোচনা করা হোক।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এই মুহূর্তে আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে যাওয়ার মতো অবস্থায় নেই। আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে নির্ধারিত সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছি। অন্তত আরও পাঁচ বছর সময় দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
Do Follow: greenbanglaonline24