সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি স্বাক্ষর, প্রতি এজেন্সিতে এক হাজার যাত্রী।
সৌদি আরব ও বাংলাদেশ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা এক হাজার রেখে ‘হজ চুক্তি’ করেছে। সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা ড. এ.এফ.এম. বাংলাদেশের পক্ষে খালিদ হোসেন এবং সৌদি আরবের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান আল রাবিয়া।
জেদ্দায় সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের সার্বিক হজ ব্যবস্থাপনার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশি হজ এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীদের ন্যূনতম কোটা ১ হাজার থেকে কমিয়ে আনার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
তবে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী সৌদি সরকারকে প্রতি এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা ১.০০০ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ধর্মীয় উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে হজ পরিচালনাকারী এ ধরনের ট্রাভেল এজেন্সির সংখ্যা ৭৫০।
২০২৪ সালের অক্টোবরে সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে, ধর্মীয় উপদেষ্টা সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রীকে প্রতি এজেন্সি প্রতি তীর্থযাত্রীর ন্যূনতম কোটা ২,০০০ থেকে কমিয়ে ২৫০ করতে অনুরোধ করেছিলেন। তার অনুরোধের জবাবে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশি এজেন্সি প্রতি হজযাত্রীর ন্যূনতম কোটা ২.০০০ থেকে কমিয়ে ১.০০০ করা হয়েছে ২০২৫ এর জন্য। তবে, পরের বছর, এই কোটা হবে প্রতি এজেন্সি ২.০০০।
এ সময় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, হজ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত দেলোয়ার হোসেন, কনসাল জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ মইনুল কবির, কাউন্সেলর (হজ) মো. জহিরুল ইসলাম ও উপদেষ্টার একান্ত সচিব সাদেক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Do Follow: greenbanglaonline24