বাংলাদেশ সিরিজ বড় হার দিয়ে শুরু করল
সালটা ২০০৭ কুইন্সল্যান্ড ওভালে এমন একটি দিন দেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট। টস হেরে টাইগাররা মাত্র ৯৩ রানে অলআউট হয়ে যায়। জবাবে, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ‘নির্দয়’ তান্ডবে নিউজিল্যান্ড মাত্র ছয় ওভারে জিতেছিল।
মোহাম্মদ আশরাফুল-আফতাব আহমেদের জনপ্রিয়তা তখন তুঙ্গে। সাকিব-তামিম-মুশফিকরা সবে শুরু হয়েছে। এই দল এবং বাংলাদেশের মধ্যে পার্থক্য এত বেশি। ম্যাচের দৃশ্যধারণ, হারের পার্থক্য, রান, উইকেট সবই আলাদা।
তবে ওভালের হার আগের মতোই। টস হেরে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কিউইরা ৮ উইকেটে জিতেছে। তাও আবার ২৮.৪ ওভার হাতে রেখে। আরও লজ্জাজনক হত যদি গাপটিল আউট না হতো।
শনিবার (বাংলাদেশ সময় ভোরে) ডুনেডিনের বিশ্ববিদ্যালয় ওভালে প্রথম ওয়ানডে উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। তারপরেও ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা গা ছাড়া ভাবের কারনে সুবিধা নিতে পারেনি। ট্রেন্ট বোল্ট-জেমস নিশামের তোপে তাই ধসে যায় দ্রুত ।
জবাবে ব্যাটিং শুরু করে নিউজিল্যান্ড। ওপেনার গাপটিল ৫০ ওভারের ম্যাচটিকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে রূপান্তর করেছেন। তাসকিন আহমেদের উইকেটের পিছনে ক্যাচ হওয়ার আগে তিনি ১৯ বলে ৩টি চার ও ৪ ছক্কা দিয়ে ৩৮ রান করেন।
ওপেনার হেনরি নিকোলাস এবং অভিষেক ডিভন কনওয়ে সহজেই দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়।
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে মাহমুদউল্লাহ সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ১৩ রানে আউট হন। সৌম্য সরকার তিনে নেমে শূন্য রানে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসেন। লিটন দাস ১৯ রান করেন। ২৩রান এসেছিল মুশফিকের ব্যাট থেকে। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ২৭ রানে ৪ উইকেট। এছাড়া জেমস নিশাম এবং মিশেল স্যাটনার দুটি করে উইকেট নেন।