• বাংলা
  • English
  • স্বাস্থ্য

    এবার ঢাকায় জিকা রোগী শনাক্ত

    ঢাকায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত তিন মাসে আটজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

    মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরিন গণমাধ্যমকে বলেন, গত দেড় থেকে দুই মাসে পরিচালিত নমুনা পরীক্ষায় জিকা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তকৃত জিকা রোগীরা রাজধানীর ধানমন্ডি, শ্যামলী ও বনানীর বাসিন্দা। আক্রান্তদের বাড়িতে পাওয়া মশার নমুনায়ও জিকা ভাইরাস পাওয়া গেছে।

    ২০১৪ সালে দেশে প্রথম এডিস মশাবাহিত জিকা রোগ শনাক্ত হয়।

    গত বছর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়া রিসার্চ বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) পাঁচজন জিকা রোগী শনাক্ত করেছে।

    সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিকা শনাক্ত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি বড় সতর্ক সংকেত। আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে এবং চিকিৎসা ও প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করতে হবে।

    আইইডিসিআর বলছে, জিকার কোনো নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই এবং উপসর্গের ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া উচিত। আক্রান্ত ব্যক্তিকে বিশ্রাম নিতে হবে, প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর ও ব্যথার ওষুধ খেতে হবে।

    রোগীর অবস্থার অবনতি হলে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।

    জিকা রোগ সম্পর্কে আইইডিসিআর ওয়েবসাইট অনুসারে, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সংক্রামিত ব্যক্তির রোগের কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। বাকি ২০ শতাংশে কিছু উপসর্গ দেখা যায়।

    জিকা আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকে লালচে ফুসকুড়ি দেখা দেয়। সেই সঙ্গে মাথাব্যথা, চোখ লাল, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা। সংক্রমণের ৩ থেকে ১২ দিনের মধ্যে লক্ষণগুলি উপস্থিত হয় এবং ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়।

    গত আড়াই মাসে আইসিডিডিআরবির সংক্রামক রোগ বিভাগের গবেষকরাও নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরীক্ষাগারে জিকা রোগী শনাক্ত করেছেন। অন্তত চারজনের রক্তের নমুনায় জিকা ধরা পড়েছে।

    অর্থাৎ গত তিন মাসে আটজন জিকায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি গবেষকরা।

    ঢাকার বাইরে জিকা ভাইরাসের পরিস্থিতি জানা নেই। কারণ আইইডিসিআর ঢাকার বাইরের নমুনা পরীক্ষা করেনি।

    Follow: greenbanglaonline24