• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন

    ১৫ থেকে ১৭ জুলাই টানা তিন দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর অমানবিক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এবার  সেই বর্বরোচিত হামলায় যারা অংশ নিয়েছিল ও নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের সবার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

    সোমবার বিকাল ৩টায় ঢাবির টিএসসির পায়রা চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

    সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বার্তাপ্রেরক সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন আয়ান জানান, ১৫ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সংগঠিত নৃশংস হামলা সংক্রান্ত তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে। যার মাধ্যমে এই বর্বরোচিত হামলার সাথে জড়িত প্রত্যেক সন্ত্রাসী ও মাস্টারমাইন্ডকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

    উল্লেখ্য, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্রদের সংগঠন। গত ১ জুলাই এই সংগঠনটি তৈরি করা হয়েছে। এদিকে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বেশ কয়েকজন সমন্বয়ককে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।

    তাদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিফাত রশিদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সারজিস আলম, ইংরেজি বিভাগের হাসনাত আবদুল্লাহ, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের আসিফ মাহমুদ ও আবু বকর মজুমদার, ভূগোল বিভাগের শিক্ষার্থী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল।

    প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে গত ১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

    এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ জুলাই আন্দোলনকারীরা টিএসসি এলাকায় জড়ো হয়ে সমাবেশ করে এবং স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা অন্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। এরপর বিজয় আতর হলে পৌঁছালে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়। এভাবে টানা ৩ দিন অর্থাৎ ১৫ ও ১৭ জুলাই সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষের একপর্যায়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালানো হয়।