জাতীয়

বায়তুল মোকাররমের ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজের ইমামতিকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

গত শুক্রবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।

জুমার নামাজ শুরুর আগে বায়তুল মোকাররমের বর্তমান খতিব হাফেজ মাওলানা  মুফতি ওয়ালিউর রহমান খান বয়ান করছিলেন, এ সময় পূর্ববর্তী খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন তার অনুসারীদের নিয়ে বায়তুল মোকাররম মসজিদে এসে বর্তমান খতিবের মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তা দেখে উপস্থিত খতিবের অনুসারীরা রুহুল আমিনের অনুসারীরা প্রতিহত করেন।

এরপর দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ পরে ব্যাপক সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি অনুকূলে না দেখে খতিব মুফতি রুহুল আমিন নামাজ না পড়িয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন। সাধারণ মুসল্লিরা বিরক্ত হয়ে মসজিদ ত্যাগ করেন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে পরিবেশ শান্ত হলে সাধারণ মুসল্লিরা আবার মসজিদে প্রবেশ করেন।

প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বায়তুল মোকাররমের খতিব ছিলেন মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন লাপাত্তা।

এরপর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে নতুন খতিব নিয়োগের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে চলে যান। সে কারণে নতুন একজনকে নামাজের ইমামতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।