সুচি আটক ফের সেনা নিয়ন্ত্রণে মিয়ানমার
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, অং সান সু চি এবং ক্ষমতাসীন দলের অন্য প্রবীণ নেতাদের আটক করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বেসামরিক সরকার ও প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে দ্বন্ধ ও উত্তেজনার পরে এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) এর মুখপাত্র মিয় নয়েন্ট বলেছেন, তাদের শীর্ষ নেতাদের সোমবার সকালে একটি সেনা অভিযানে আটক করা হয়। পরে সামরিক নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে অং সান সুচি, প্রেসিডেন্ট ওয়েইন মিন্ট এবং দলের সিনিয়র নেতারা “ধরা পড়ে”। এমনকি তাকে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
এর আগে, ১৯৬২ সালে একটি অভ্যুত্থানের পরে, এই দেশটি ৪৯ বছর ধরে সামরিক বাহিনীর দ্বারা শাসিত হয়েছে।
সেনাবাহিনী রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনে এক বিবৃতিতে বলেন যে “নির্বাচনে জালিয়াতির” প্রতিক্রিয়া হিসাবে এই অভিযান পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনী প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে এবং এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হবে। একজন সামরিক মুখপাত্রের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি আর কোনো উত্তর দেননি।
গত বছরের ৮ নভেম্বর জাতীয় নির্বাচনে সুচির দল এনএলডি একটি দুর্দান্ত জয় পায়। ৩২২ টি আসন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে পর্যাপ্ত হলেও এনএলডি ৩৪৬ টি আসন জিতেছে। সোমবার নতুন সংসদ অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল।
তবে সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন দল (ইউএসডিপি) ভোট কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল গ্রহণ করতে অস্বীকার করে এবং নতুন নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। তার পর থেকে দেশে আরও একটি সামরিক অভ্যুত্থানের আশঙ্কা ছিল।