জাতীয়

তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করতে বিদেশি প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রোস্টার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুষ্ঠু ও মানসম্মত তদন্ত নিশ্চিত করতে সরকার গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশি কারিগরি সহায়তা নেওয়া হবে।” আমরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির জন্য বিদেশী প্রযুক্তিগত সহায়তা নেব যাতে এটি সঠিক, গুণমান এবং উচ্চমানের হয়।’

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই তদন্তে সহায়তা নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে জাতিসংঘের (ইউএন) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। জাতিসংঘ আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং বাংলাদেশও আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ সময় জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বলেন, তার দেশ সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জার্মানির দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।

ধর্মীয় উগ্রবাদ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যারা ধর্মীয় উগ্রবাদের সহযোগী তাদের প্রতি আমাদের কোনো সহানুভূতি নেই। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা করি একটি স্বাধীন তদন্ত হবে। তদন্ত কমিটি দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সব মৃত্যুর তদন্তে হাইকোর্টের বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।