জাতীয়

বেনজিরের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শেষ পর্যায়ে

আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মানি লন্ডারিং ও অঘোষিত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রোববার গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।

খুরশীদ আলম খান বলেন, তদন্ত শেষ হলে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। তারপর কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া আরও একটি তল্লাশি শুরু হয়েছে। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সম্পদ ঘোষণার নোটিশ জারির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর জন্য ২১ দিন সময় দেওয়া হয়েছে।

৩১শে মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক ‘বেনজিরের বাড়িতে আলাদিনের প্রদীপ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার বিভিন্ন আর্থিক সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে। বেনজিরের বিশাল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভান্নাহ ইকো রিসোর্ট নামে একটি অভিজাত ও মনোরম পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ছয়টি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ হতে পারে ৫০০ কোটি টাকার বেশি।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, ঢাকার অভিজাত এলাকায় বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি এবং বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ানে দুই মেয়ের দুই লাখ শেয়ার রয়েছে। এ ছাড়া পূর্বাচলে ৪০ কাঠা জমির ওপর একটি ডুপ্লেক্স বাড়ি রয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় ২২ কোটি টাকার আরও ১০ বিঘা জমি রয়েছে।

তবে দীর্ঘ ৩৪ বছর সাত মাসের চাকরি জীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় হওয়ার কথা ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।