আজিজের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখ খুলল যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মুখ খুলেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগন।
সংস্থাটি বলেছে যে আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাগুলি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার স্থানীয় সময় বুধবার পেন্টাগনের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জেনারেল আজিজের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে পেন্টাগনের মতামত ব্যক্ত করেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ মনে করে জেনারেল আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি মার্কিন অঙ্গীকার প্রতিফলিত করে।
পেন্টাগন স্বীকৃত সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারি ব্রিফিংয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে পেন্টাগন কীভাবে বাংলাদেশের সাথে তার সামরিক ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব পরিচালনা করছে। কারণ উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আমি কি জানতে পারি পেন্টাগন এই বিষয়ে কি ভাবছে?
জবাবে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ‘আপনি যেমন জানেন এবং আপনার প্রশ্নেও উল্লেখ করেছেন- স্টেট ডিপার্টমেন্ট জেনারেল (আজিজ) আহমেদকে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। গত মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নিষেধাজ্ঞাগুলি বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতিকে পুনর্ব্যক্ত করে এবং দুর্নীতি দমনে (বাংলাদেশে) গৃহীত পদক্ষেপকে বিভাগ (পেন্টাগন) সমর্থন করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই বলে শেষ করতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে। একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল, সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার মতো বিষয়ে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি অংশীদারিত্ব রয়েছে।’
গত মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। দুর্নীতিতে ব্যাপকভাবে জড়িত থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।