১৫ মামলায় পিকে হালদারের দুই সহযোগীর আত্মসমর্পণ
গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের সহযোগী এবং ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের প্রাক্তন পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী ১৫ মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসমাছ জগলুল হোসেনের আদালতে তারা এই জামিন আবেদন করেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন জেনারেল) আমিনুল ইসলাম জানান, দুপুরে শুনানি হবে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালে বেশ কয়েকটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে বাসুদেব ব্যানার্জী ও তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জী গত ৯ মে হাইকোর্ট থেকে ১৫টি মামলায় ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পান। পরে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ ১৩ মে জামিনের আদেশ স্থগিত করেন। ২৩, আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জীকে ৪ জুনের মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জানা যায়, ২০২১ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ডিরেক্টর বাসুদেব ব্যানার্জী এবং তার স্ত্রী ডিরেক্টর পাপিয়া ব্যানার্জির বিরুদ্ধে এসব মামলা করে। মামলার অন্যতম আসামি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার।
মামলাগুলোতে প্রায় ৭৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ৩৫০০ কোটি টাকা অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে পিকে হালদারকে গ্রেফতার করে ভারতের একটি কারাগারে রাখা হয়েছে। অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম পিকে হালদারকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তার সহযোগী ও অন্যান্য অপরাধে অভিযুক্ত ১৩ সহযোগীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।