• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা সহায়তা।বন কর্মকর্তা সাজ্জাদের স্ত্রীকে কর্মসংস্থানের  উদ্যোগ নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী

    বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, কক্সবাজারে দুর্বৃত্তদের মিনি ট্রাকের ধাক্কায় বন বিভাগের কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সাজ্জাদুজ্জামানের খুনিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।

    তিনি বলেন, পাহাড় কর্তনতারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দায়ী সকলকে বিচারের আওতায় আনা হবে। অতীতের এ ধরনের ঘটনারও বিচার হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে।

    রোববার মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ভিটিকান্দি গ্রামে পাহাড় খেকো চক্রের হাতে নিহত বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে চেক ও নগদ অর্থ হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    বন বিভাগের কর্মকর্তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হলে তিনিও শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সাজ্জাদুজ্জামানের অকাল মৃত্যুতে পরিবার যাতে আর্থিক সংকটে না পড়ে সেজন্য তার স্ত্রীকে মাস্টার্স পাস করে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগ সব সময় তার পরিবারের পাশে থাকবে।

    এ সময় বিট কর্মকর্তার হাতে নিহত মন্ত্রী মো: সাজ্জাদুজ্জামানের বাবার হাতে মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের পক্ষ থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। পরে মন্ত্রী নিহত বিট কর্মকর্তার কবর জিয়ারত করেন। মন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমির হোসেন চৌধুরী, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ জাহিদুল কবির, মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (বন) আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান, বন সংরক্ষক আরএসএম মুনিরুল ইসলাম ও আবদুল আউয়াল সরকারসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। , বন বিভাগ, প্রশাসন উপস্থিত ছিলেন।

    প্রসঙ্গত, সাজ্জাদুজ্জামান সজল ২০২০ সালে বন বিভাগে বনবিভাগে যোগদান করেন। গত বছরের শেষের দিকে দোচিরি ফরেস্ট বিটে যোগদানের পর থেকে তিনি পাহাড় অধ্যুষিত উখিয়ায় পাহাড় ও বন রক্ষায় প্রায় রাতভর অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। গত তিন মাসে প্রায় দুই ডজন ডাম্প ট্রাক আটক করে মামলার আওতায় এনে রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়েছে। এক রাতে তার চারটি মাটিবর্তি ডাম্পট্রাক জব্দ করেছেন। এসব কারণে পাহাড়খেকো চক্র তার ওপর চরম ক্ষুব্ধ হয়। যার ফলশ্রুতিতে তাকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করতে হয়েছে বলে মনে করছেন তার সহকর্মীরা।