কেএনএফ সন্ত্রাসীদের ড্রোন উড়িয়ে খুঁজছে পুলিশ
বান্দরবানের কয়েকটি ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে গোহিন পাহাড়ে আত্মগোপন করেছে সশস্ত্র গ্রুপ কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীরা। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, কেএনএফ তিন দিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনদিক থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে থানচি বাজার ও থানা দখলের চেষ্টা করে। আমরা পাল্টা গুলি করলে তারা পালিয়ে যায়। গোয়েন্দারা নিশ্চিত করেছে যে কেএনএফ সদস্যরা এখন থানার দেড় কিলোমিটারের মধ্যে লুকিয়ে আছে। তারা আবার হামলা চালাতে পারে। আমরাও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, গত ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজের সময় বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংক শাখায় একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে টাকা লুট করে। এ সময় তারা ব্যাংকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সময়ে মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রয়োজন ছাড়া তারা বের হচ্ছেন না। একের পর এক সন্ত্রাসী হামলার কারণে থানচি এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এক পাহাড়ি ব্যবসায়ী বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না কুকি-চীনা সন্ত্রাসীরা কী চায়। আমার জীবনে প্রথমবার ব্যবসা করার সময় আমাকে চাঁদা দিতে হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায় ধস নামবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এরপর শুক্রবার সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।