• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    আবাসিক ভবনে বিপুল  নকল ওষুধের মজুদ।মেহেদীবাগে ৫ লাখ টাকার নকল ওষুধ জব্দ, ২ জনকে জেল

    শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই বিক্রি হচ্ছে নকল ও ভেজাল ওষুধ। ভোক্তারা নকল ওষুধ থেকে আসল ওষুধের পার্থক্য করতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। ভুক্তভোগীরা জানান, নকল ওষুধ এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, তা আসল না নকল বলা যায় না। গত বুধবার নগরীর নুর ভিলা, শহীদ মির্জা লেন, মেহেদীবাগে নকল ওষুধের একটি ডিপোর সন্ধান পায় প্রশাসন।

    বুধবার বিকেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও পুলিশের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম কাট্টলী সার্কেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

    অভিযানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়া এজেন্ট পরিচালনা, লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ, দামের তারতম্যের মতো গুরুতর অপরাধ ধরা পড়ে। Nerve-Dx, Fair Soap, Virogel, Virocon, Vh-Lotion, Uni-Bion, Uni-D3, Uni Vis, J-One, J-Bion, J-Roba, J-Polen, S-Bole ইত্যাদি প্রায় ৫ লক্ষ  টাকার জাল ওষুধ জব্দ ছাড়াও ২ জনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মোঃ আহসানুল কবির (৫৬) ও সুলতানা রাজিয়া (৩৫)।

    ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে লাইসেন্স ছাড়া কোম্পানির একটি এজেন্সি পরিচালনা, নকল ও ভেজাল ওষুধ মজুদ ও সরবরাহ এবং অভিযানকারী দলের দাপ্তরিক কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মো. আহসানুল কবিরকে ওষুধ ও প্রসাধনী আইন, ২০২৩-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় যথাক্রমে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং রাজিয়া সুলতানাকে (৩৫) মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই আইনের প্রাসঙ্গিক ধারা। জরিমানা অনাদায়ে রাজিয়া সুলতানাকে ওয়ারেন্টে চট্টগ্রাম জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, নকল, অনিবন্ধিত ও অবৈধ ওষুধ বিক্রি ও মজুদ বন্ধে অভিযান কঠোরভাবে পরিচালনা করা হবে এবং এর সঙ্গে জড়িতদের খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।