• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    শাহসুফী আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর বার্ষিক ওরশ ২৫ মার্চ: থাকবেন বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর বংশধর শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি


    যুগশ্রেষ্ঠ অলি-এ কামেল হযরত মাওলানা শাহছুফী সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী (রহ.) ৪০ তম বার্ষিক ওরশ শরীফ আগামী ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নানুপুর আস্তানা-এ-ঈছাপুরী দরবার শরীফে যথাযোগ্য মর্যাদায় ওরশ সম্পন্ন করতে প্রস্তুতি নিয়েছে মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটি। ওরশে আলোচনায় সভায় উপস্থিত থাকবেন বড় পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) বংশধর ও বাগদাদ শরীফ দরবারের সাজ্জাদানশীন মাওলানা শেখ সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল জিলানি আল বাগদাদী।
    মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান ও মাহফিল এন্তেজামিয়া কমিটির সভাপতি সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
    বার্ষিক ওরশ উপলক্ষে ওইদিন সকাল থেকে নানা কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে-পবিত্র খতমে কোরান, খতমে খাজেগান ও আলোচনা সভা; মিলাদ মাহফিল ও জিকির আজকার শেষে বাদ এশা আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে ওরশের সমাপ্তি ঘটবে।
    সংবাদ সম্মেলনে সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, মাত্র ১০০ টাকার চাকরিজীবী থেকে দেশের একজন শিল্পপতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এসবকিছু সম্ভব হয়েছে পীর হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী(রহ.) দয়ায়। হুজুরের নানা আধ্যাত্মিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, হযরত মাওলানা শাহসুফি সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী হলেন আধ্যাত্মিক জগতের উজ্জ¦ল নক্ষত্র, যুগশ্রেষ্ঠ মহান সাধক ও জ্ঞানতাপস। অকল্পনীয় ঈমানী ও রূহানী শক্তি, আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছার উপর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ ও আত্মত্যাগ ছিল তার চরিত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট।
    তিনি বলেন, বাবা ইছাপুরী কামেল নয়, মোকাম্মেল অলি ছিলেন; তার সোহবতে এসে অনেকেই অলি হয়েছেন। মহান এই জ্ঞানতাপস আধ্যাত্মিক সাধনার পাশাপাশি মসনবী শরীফের অনুবাদ করেছেন। ১০৪টি বিতাব রচনা করেছেন। ৩৬ বছর তিনি ঘর থেকে বের না হয়ে সাধনায় মগ্ন ছিলেন। হযরত ঈছাপুরী হুজুরের দোয়ার বরকতে আজ আমি শিল্পপতি হয়েছি; কিন্তু আমি একজন ১০০ টাকা বেতনের সাধারণ চাকুরে ছিলাম।
    আল্লাহ ওলিদের সোহবতে গেলে জীবন পাল্টে যায় মন্তব্য করে তিনি আল্লাহর মকবুল অলিদের খেদমত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি আল্লার অলিদের সাথে বেয়াদবি বা সমালোচনা না করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সকল অলিদের মানবো, সম্মান করবো এবং সুযোগ থাকলে খেদমত করবো। বাবা ইছাপুরীর জীবনাচার নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।
    আঞ্জুমা-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তিনি বলেন, অলি আল্লাহদের খেদমত করতে শাহছুফী সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরী সুফি সাহেবকে রেখে গেছেন।
    মহান এই অলি আল্লার ওরশে সবাইকে শরীক হয়ে আল্লাহর বিশেষ ফজল, করম, রহমত ও নেয়ামত হাছিল করার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
    সংবাদ সম্মেলনে গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের প্রেসিডেন্ট মাওলানা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী, জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ আবুল তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল কাদেরী বক্তব্য রাখেন।
    এসময় শাহছুফী সৈয়দ আবদুচ্ছালাম ঈছাপুরীর আওলাদ শাহজাদা সৈয়দ সফিউল আজম, সৈয়দ আশরাফুজ্জামান, সৈয়দ আমানুল্লাহ আহসান, সৈয়দ এহসানুল করিম, সৈয়দ ফয়জুল আজিম ও সৈয়দ মশিউর রহমান, মাওলানা নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী, শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পরিষদের প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আলী আবরাহা দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
    এছাড়া বিভিন্ন দরবার, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ,শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পরিষদ, আঞ্জুমান-এ আশরাফিয়া বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।