চারদিন নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার
৪১তম বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত মাহমুদা আক্তার হ্যাপি পছন্দের পদে বিসিএস ক্যাডারে সুপারিশ না হওয়াসহ নানা হতাশা ভুগছিলেন। তাই কাউকে কিছু না বলে নির্জনে সময় কাটানোর দাবি করেন তিনি। নিখোঁজের চার দিন পর পাওয়া মাহমুদা আক্তার হ্যাপি পুলিশের কাছে এ দাবি জানান বলে পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে বন বিভাগে পদায়ন করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসিন্দা।
সূত্র জানায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ হন বিসিএসের নারী ক্যাডার মাহমুদা আক্তার হ্যাপি (৩১)। চারদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের একটি কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। অন্তর্ধান শুক্রবার উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি।
ওসি ওসমান গণি জানান, গত ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে ৭১ জন পর্যটকের একটি দল টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিনে যায়। মাহমুদা আক্তার হ্যাপিও সেখানে ছিলেন। হোটেল সি ভিউ সহ দ্বীপের বেশ কিছু রিসোর্টে তারা অবস্থান করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে মাহমুদা আক্তার তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বলে রিসোর্ট থেকে বের হন। বিকেল পর্যন্ত তিনি রিসোর্টে ফিরে আসেননি। পরে রিসোর্টের সঙ্গীরা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে জানান, তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে আছেন। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে নিখোঁজ নারী পর্যটকের সঙ্গে রিসোর্টের কক্ষে থাকা বান্ধবী সুমা খানম টেকনাফ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
ওসমান গণি আরও জানান, হ্যাপির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাক করে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় কক্সবাজারের কলাতলী এলাকার এআর কটেজ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার মাহমুদার বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ওই দিন হ্যাপি সেন্টমার্টিন দ্বীপের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন। পানিতে ভেসে গেলে কয়েকজন জেলে তাকে উদ্ধার করে শাহপরী দ্বীপে নিয়ে যায়। সেখান থেকে টমটম যোগে টেকনাফ হয়ে কক্সবাজারে আসেন। মূলত বন বিভাগের হ্যাপি বিসিএস ক্যাডারের বিধান তার পছন্দ হয়নি। প্রশাসনে থাকতে চাইলেও তিনি না থাকায় ভেঙে পড়েছেন। ছাত্রী হিসেবে সে মেধাবী ছিল। তাই তিনি কক্সবাজার শহরে ফিরে পুলিশকে জানান, তিনি কটেজে অবস্থান করেন।
পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলে দাবি করেন ওই কর্মকর্তা।