• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    পালিয়ে আসছে অনেকেই, ২২৯ জন বিজিবির হেফাজতে

    মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের কারণে শুধু দেশটির সীমান্তরক্ষীরা বিজিপির সদস্য নয়, দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মী এবং আহত বেসামরিক নাগরিকরাও পালিয়ে আসছে।

    মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত পালিয়ে আসা ২২৯ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতবিল সীমান্ত দিয়ে ১১৪ জন এবং টেকনাফের ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে আরও ২ জন।

    মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২২৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে পালংখালী সীমান্ত দিয়ে এসেছেন ১১৪ জন। এখানে শুধু বিজিপি সদস্যরা নন। আহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী এবং মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিক রয়েছে। কতজন আহত হয়েছেন তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

    পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাত অনেক বেশি তীব্র হচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্ত এলাকা। এ অবস্থায় ১১৪ বিজিপি সদস্য একে একে রহমত বিল সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেয়। বিজিবি সদস্যরা তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ ফাঁড়িতে মজুদ করে রেখেছে। সেখানে কেউ আহত হয়েছে কিনা তা তিনি জানেন না।

    এদিকে আশ্রয় নেওয়া বিজিবি সদস্যদের অনেকেই আহত হয়েছেন। বিজিবির তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ৯ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান।

    এর আগে সোমবার টেকনাফের উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৫ রোহিঙ্গা। যাদের পরে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এছাড়া সোমবার রাতে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করেছে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের ৮ নাগরিক। যাদেরকেও বিজিবি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।