বিবিধ

বিআইডব্লিউটিএর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) গুদামে দ্বিতীয়বারের মতো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যা অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে বলে জানিয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় বিআইডব্লিউটিএর গুদামে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। প্রায় ৬ ঘণ্টা চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল। ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিটের ৫৪ সদস্য আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।

এর আগে ২০১৮ সালের ২৩ নভেম্বর বিআইডব্লিউটিএর এই গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পোড়া পাইপ গুদামে স্তুপ করে রাখা হয়েছে। আর সেই পাইপের স্তুপে আবার আগুন লেগেছে।

বিআইডব্লিউটিএর এক কর্মচারী বলেন, দুপুরে নদী থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেছি। গোডাউনে এসে দেখি অনেক বড় আগুন লেগেছে। যা পানি দিয়ে নেভানো সম্ভব ছিল না। ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল হক, বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মোঃ শহীদ উলিয়াসহ অন্যান্যরা।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, ঘাসের মতো শুকনো কিছু থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। যেহেতু পূর্বের ঘটনার ধ্বংসাবশেষ এখানে রাখা হয়েছিল, আমার মনে হয় এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল, মোটেও নাশকতা নয়। তবে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেন, আমাদের গুদামের ভেতরে সিসিটিভির নিরাপত্তা বেশি জরুরি। বাইরে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। সিসিটিভি থাকলে ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে।