• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    উখিয়ায় দুই মেম্বারের নেতৃত্বে শতাধিক পাহাড় সাবার ডাম্পার আটক

    কক্সবাজারের উখিয়ায় রাতের আঁধারে পাহাড় কাটতে গিয়ে মাটির নিচে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে বন বিভাগ।

    সোমবার (২২ জানুয়ারি) গভীর রাতে পাহাড় কেটে মাটি পাচারের সময় উপজেলার হলদিয়া ইউপি সদস্য মো. শাহজাহানের মালিকানাধীন একটি ডাম্পার জব্দ করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও)। সারওয়ার আলম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    বন বিভাগ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. শাহজাহান ও তুরজয় চৌধুরী রিগানের নেতৃত্বে একটি চক্র ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে বন বিভাগের এলাকা থেকে মাটি পাচার করে আসছিল। প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় অসহায় হয়ে পড়ে স্থানীয় বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্টরা।

    স্থানীয়রা জানান, এই সদস্য সিন্ডিকেট পশ্চিম হলদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তরে আমির হোসেন পয়েন্ট, জামবাগান ফরেস্ট অফিসের উত্তরে সরকারি পাহাড়, বাগগুলা মার্কেটের উত্তরে মাহাবুর বাড়ির বিশাল পয়েন্ট, পাগলিরবীর, মধুঘোনা, উত্তর, দক্ষিণ, সহ প্রায় শতাধিক পয়েন্টের মাটি কেটে পাচার করে। বড়বিল, পাতাবাড়ী করছে এই চক্রটি আশপাশের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকার পাহাড় জুড়েও।

    অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় বন বিভাগকে ম্যানেজ করে মাটি পাচারের চক্রটি চালালেও স্থানীয়দের অভিযোগের পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    সোমবার সকালে উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মুহাম্মদ শফিউল আলম এক ক্ষুদে বার্তায় দাবি করেন, অবৈধভাবে পাহাড়ের মাটি কাটার সময় ঘটনাস্থল থেকে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের সদস্য শাহাজানের ড্রাম ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। শাহাজান মেম্বার নিজেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তিনি নিজেই নেতা বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, বন ও পাহাড়ি খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধে বন বিভাগ কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। জনবলের স্বল্পতা সত্ত্বেও তারা বন ও পাহাড় রক্ষায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে উখিয়ায় ৪টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ ও বিপুল পরিমাণ কাঠ জব্দ করা হয়েছে। সোমবার অভিযানের বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।

    এ প্রসঙ্গে উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর হোসেন বলেন, বন ও পাহাড় ধ্বংসকারী যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। সোমবারের অভিযানে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।