বিবিধ

চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ

আজ সকাল থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। গ্রাহকরা অভিযোগ করেছেন, গ্যাস সরবরাহকারী কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) কর্তৃপক্ষ আগাম নোটিশ না দিয়ে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) মহাব্যবস্থাপক আমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করে চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হয়। পাইপলাইন সরবরাহের জন্য আমদানি করা এলএনজি রূপান্তর করার জন্য কক্সবাজারের মহেশখালীতে দুটি ভাসমান টার্মিনাল রয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনাল ১ নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে।গতকাল বৃহস্পতিবার এটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চালু করা যায়নি। এছাড়া সামিট এলএনজি টার্মিনালও ব্যাক স্পিড বা ব্যাক প্রেসারের অভাবে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না। এ কারণে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আজ সারাদিন গ্যাস না পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ সামিট টার্মিনাল খালি করা হচ্ছিল। এটিও রক্ষণাবেক্ষণে যাওয়ার কথা। সব মিলিয়ে কবে পরিস্থিতির উন্নতি হবে তা বলা যাচ্ছে না।

তবে পেট্রোবাংলা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মহেশখালী এলএনজি টার্মিনালে কারিগরি ত্রুটির কারণে সকাল থেকে চট্টগ্রাম এলাকায় সাময়িকভাবে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে এবং শীতের কারণে দেশের অন্যান্য স্থানে গ্যাসের নিম্নচাপ বিরাজ করছে। দ্রুত মেরামতের লক্ষ্যে কাজ চলছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিগুলো সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছে। দেশীয় গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।

গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলা দুঃখ প্রকাশ করেছে।

এদিকে গ্যাসের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নগরবাসী। অনেক গ্রাহককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তিন মাস ধরে গ্যাসের তীব্র সংকটে ভুগছেন। এটা দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, গ্যাস বন্ধ থাকায় অনেকেই রেস্টুরেন্টে খাবারের জন্য সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু অনেক রেস্তোরাঁয় রান্নাও হয়নি। অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক চুলা ও কাঠ জ্বালিয়ে রান্না করতে হচ্ছে গ্রাহকদের। হঠাৎ করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নগরীর ফিলিং স্টেশনগুলোও গ্যাস পাচ্ছে না। এ কারণে সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচল কমে গেছে। তবে সাপ্তাহিক ছুটি হওয়ায় ভোগান্তি তুলনামূলক কম ছিল।