এবারও নৌকার প্রতি আস্থা রাখতে চায় বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের মানুষ
রংপুর-২ আসনের তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ রংপুর-২ আসনের দুই বারের সংসদ সদস্য ও আধুনিক বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জের রূপকার আহসানুল হক চৌধুরী ডিউককে এমপি হিসেবে পাওয়ার জন্য একত্রিত হয়েছেন। আগামী ৭ তারিখ নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হতে চান তারা। তাই দলমত নির্বিশেষে ডিউকের জন্য দলে দলে ছুটছেন তৃণমূলের সাধারণ মানুষ।
এলাকাবাসীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই তারাগঞ্জে এক জনসভায় ডিউককে তার ছেলে হিসেবে ঘোষণা করে তার জন্য ভোট চেয়েছেন। তার হাত ধরেই এলাকার উন্নয়ন হবে। রংপুর-২ উন্নয়নে ডিউকের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য আমরা তাকে ভোট দেব। আমাদের উন্নয়ন দরকার।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ এখন আলোকিত। অন্যান্য আসনের চেয়ে উন্নয়ন নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এমপি ডিউক গত দশ বছরে দুটি কলেজ ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ উপজেলার মানুষকে স্বল্প খরচে চিকিৎসা সেবা দিতে এ দুই উপজেলার দুটি হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে, শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষ যাতে কম খরচে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পেতে পারে সেজন্য দুটি আধুনিক অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, দুই উপজেলার শতভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুন্দর পরিবেশে পাঠদান করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের বক্তব্যে এমপি ডিউক চৌধুরী দুই উপজেলায় ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আওতায় আনেন। এতে করে প্রায় আড়াই লাখ পরিবার আয় করতে সক্ষম হয়েছে। পরিবারগুলো এখন আর্থিক সংকটে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদে।
যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে জানা গেছে। উপজেলা শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত পাড়ায় এখন পাকা রাস্তা রয়েছে। খরা ও বন্যা মৌসুমে যেসব এলাকায় মানুষ চলাচল করতে পারে না সেসব এলাকাসহ সাড়ে তিনশ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। তারাগঞ্জে পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মন্দির সংস্কারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা সহ সকল কাজ সামাজিক নিরাপত্তা চক্রের অধীনে করা হয়। যাতে প্রান্তিক শ্রমিকরা শান্তিতে দিন কাটাতে পারে। সরকার কর্তৃক ভূমিহীনদের বাড়ি বরাদ্দ ও হস্তান্তর করা হয়েছে।
হাবিবুর রহমান নামের এক শিক্ষক বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের এমপিও না থাকাকালীন কষ্টের কথা মনে পড়লে চোখে পানি চলে আসে। পরিবারের সদস্যরা ছিল চরম বিপাকে। ডিউক স্যার যখন আমাদের প্রতিষ্ঠানকে এমপিও করেন, তখন সেই কষ্ট আর ছিল না। তাকে ছাড়া আমাদের ২৫ জনের পরিবার অনিশ্চিত ছিল। এবারও আমরা ভোট দিচ্ছি ডিউক স্যারকে। স্যার এবারও অনেক ভোটে জয়ী হবেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডিউক চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে মঙ্গার কবলিত এ এলাকায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তারা নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবেন বলে আমি আশাবাদী। প্রধানমন্ত্রী এসে আমার ভোট চেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি এই এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসে আমার জন্য ভোট চেয়েছেন, তাই বদরগঞ্জ তারাগঞ্জের মানুষ আমাকে ভোট দেবেন।