জাপানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬২
সোমবার জাপানে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে দেশটির ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিগগিরই জাপানে আরও শক্তিশালী ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাপানের ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন এনএইচকে জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে আরও ভূমিকম্প, ভূমিধস এবং বৃষ্টিপাতের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
গত সোমবার, জাপানের ইশিকাওয়া অঞ্চল ছিল ৭.৬মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু, যা বিশাল ঢেউ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় সময় ৪:১০মিনিটে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। হোনশু দ্বীপের নোটো প্রিফেকচারে ভূমিকম্পের পর সেখানকার কর্মকর্তারা উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে উঁচু ভূমিতে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
ভূমিকম্পের ফলে ক্ষয়ক্ষতি এখনও অজানা, তবে বেশ কয়েকটি শহরে বহু ভবন ধসে পড়েছে এবং বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
ভূমিকম্পের পর জাপানের সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। তারা খাবার, পানি এবং আশ্রয়ের সমস্ত সরঞ্জাম সরবরাহ করতে শুরু করে।
অন্যদিকে, উপকূলীয় শহর সুজু শহরের মেয়র মাসুহিরো ইজুমিয়া বলেছেন, সেখানে প্রায় কোনো বাড়িই দাঁড়িয়ে নেই। শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ি সম্পূর্ণভাবে প্রায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সত্যিই বিপর্যয়কর।
শিকা শহরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা এক নারী গণমাধ্যমকে বলেন, আফটারশকের কারণে আমরা ঘুমাতে পারছি না। আমি ভয় পাচ্ছি কারণ আমরা জানি না পরবর্তী ভূমিকম্প কখন হবে।
মূলত ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে জাপানে বেশি ভূমিকম্প হয়। এ কারণেই জাপানকে ভূমিকম্পের দেশ বলা হয়। দেশে প্রতি বছর গড়ে দুই হাজার ভূমিকম্প হয়। যদিও বেশিরভাগ ভূমিকম্পই দুর্বল, তবুও দেশটিতে ভয়াবহ ভূমিকম্পের অনেক রেকর্ড রয়েছে।