বিবিধ

গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে স্বাধীন সাংবাদিকতা থাকে না: আবদুল্লাহ

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা ছাড়া গণমাধ্যমে অস্থিরতার শেষ হবে না, হাজার হাজার সাংবাদিকের দুর্দশা, বেকারত্ব ও নিরাপত্তাহীনতার অবসান হবে না।

তিনি বলেন, কোনো সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া বা কোনো দলকে ক্ষমতায় বসানো সাংবাদিকদের কাজ নয়। কিন্তু সাংবাদিকরা সব সময় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। কারণ, গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া স্বাধীন সাংবাদিকতা হয় না। আর স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ না থাকলে প্রেস ভঙ্গুর হয়ে পড়ে, নৈরাজ্য বিরাজ করে। বাংলাদেশে এখন সত্যিকারের সাংবাদিকতা নেই।

সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় হোটেল সমুদ্র বিলাস মিলনায়তনে বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়।

জিএএম আশেক উল্লাহর সভাপতিত্বে সাধারণ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউ মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক সৈকত সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এম আর মাহবুব প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাফর সঞ্চালনা করেন। সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রশীদ প্রমুখ।

বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের ওপর নিষ্ঠুরভাবে নিপীড়ন করেছে। একের পর এক সাংবাদিক খুন হচ্ছে। এবার আওয়ামী লীগের তিন মেয়াদে সাগর-রুনিসহ ৫৪ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ২০২২ সালে ৫ সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি একজন সাংবাদিক নিহত এবং ১৮ সাংবাদিককে নির্যাতন করা হয়।

বিএফইউজে সভাপতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ সর্বাত্মক আন্দোলনের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সাংবাদিক সমাজকে দমন করে কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকে থাকতে পারবে না। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে সাংবাদিকদেরও সংগ্রাম করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, বার্ষিক সাধারণ সভার পাশাপাশি গত ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।