কোটি টাকা মূল্যের সেতুটি এখনো পথহারা
বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর সাত কোটি টাকার সেতুর দুই-তৃতীয়াংশ কাজ শেষ হয়েছে। আরসিসি সেতুর মাঝের অংশের কাজ হয়নি। জেলেদের দাবির মুখে মাঝমাঠ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সেতুর নকশা পরিবর্তন করতে হবে।
মাঝখানে ইস্পাত কাঠামো করা হবে। এতে খরচও বাড়বে।
এদিকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায় প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চার বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না।
তালতলীতে ৭ কোটি টাকার সেতু
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে দরপত্র আহ্বান করা হয়। আরসিসি সেতুটি ৭২ মিটার দীর্ঘ। এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ কোটি টাকা। বরিশালের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘আমির ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ কাজ পেয়েছে।
তারা ২০২১ সালের শেষের দিকে নির্মাণ শুরু করে। এক বছরে সেতুর উভয় পাশে মোট ৪৮ মিটার কাজ সম্পন্ন হয়। তবে স্থানীয় জেলেরা মাঝখানের উচ্চতা ২৪ মিটার নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, খালে স্বাভাবিক জোয়ার থেকে সেতুর মাঝখানের উচ্চতা রাখা হয়েছে মাত্র পাঁচ ফুট। এ কারণে স্বাভাবিক জোয়ারের সময় সমুদ্র থেকে বড় মাছ ধরার ট্রলার সেতুর নিচ দিয়ে যেতে পারে না।
তাই সেতুর নকশা পরিবর্তন করে মাঝখানের অংশ উঁচু করার দাবি জানিয়েছেন জেলেরা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ও জেলেদের দাবির সঙ্গে একমত হয়ে ওই উচ্চতায় সেতুর মাঝখানের অংশ নির্মাণে আপত্তি জানায়। এরপর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে সব ট্রলারকে স্বাভাবিক জোয়ারে চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য নকশা পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু এক বছরেও শুরু হয়নি নির্মাণ কাজ। এরই মধ্যে কাজের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
এলাকার বাসিন্দা মজিবর ফরাজী বলেন, “টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর একটি লোহার সেতু ছিল। বিপদের কারণে প্রায় দুই বছর আগে সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। সেতুটির উচ্চতা বাড়তে থাকায় নিচু হওয়ায় আমরা গ্রামবাসীরা আপত্তি জানিয়েছি।কারণ সাগর ও খালের পানি বাড়লে এই সেতুর নিচ দিয়ে কোনো ট্রলার বা নৌকা চলাচল করতে পারবে না।সেতুর কাজ অসমাপ্ত থাকায় এখানে আসা পর্যটক ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে অবর্ণনীয় ভুগছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে আমির ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্বাধিকারী মো. আমির হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ধরেননি।
তালতলী উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “শুনেছি সেতুর উচ্চতা কম হওয়ায় কাজ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ইকোপার্কে পর্যটক কম আসে। ফলে সরকারের রাজস্ব কমছে।