• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    তফসিল ঠেকাতে পুজোর পর চূরান্ত কর্মসূচি

    দুর্গাপূজার পর ঢাকায় জনসভা করে সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে চায় বিএনপি। এ পর্যায়ে দলটি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভবনমুখী মিছিল-ঘেরাও, অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচির কথাও ভাবছে। বিএনপির একাধিক সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলে এ পরিকল্পনার তথ্য পাওয়া গেছে।

    বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নতুন করে যে কর্মসূচি শুরু করা হবে তার মূল লক্ষ্য হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ঠেকানো।

    এ জন্য তফসিল ঘোষণার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে থেকে কঠোর কর্মসূচি শুরু করতে চায় দলটি। উত্তপ্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হলে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা করা সহজ হবে না বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

    সোমবার স্থায়ী কমিটির নির্ধারিত বৈঠক ছাড়াও পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে গত কয়েক সপ্তাহে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বেশ কয়েকটি অনির্ধারিত বৈঠক করেছেন। দলটির দায়িত্বশীল নেতারা গত সপ্তাহে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে মতামত নেন।

    গত কয়েকদিনে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব শরিক দলগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

    বৈঠকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ দিকে ঢাকায় জনসভা করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। জনসভার সম্ভাব্য তারিখ ২৭ বা ২৮ অক্টোবর হতে পারে। সেখান থেকে কী কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখন চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

    তবে যুগপৎ আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো এবং বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা কিছু মতামত দিয়েছেন। অধিকাংশ নেতাই সচিবালয় ঘেরাও করে কর্মসূচি শুরু করার পক্ষে অথবা সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা করার পক্ষে। কয়েকজন নেতার মতো ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে ঢাকার দিকে রোডমার্চ। কেউ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন বা সুপ্রিম কোর্ট অভিমুখে পদযাত্রা করে কর্মসূচি শুরু করা যেতে পারে।

    ১৪ অক্টোবর এক সমাবেশ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম হুঁশিয়ারি দেন, পূজার পর কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের স্বাধীনতা- দুটোই সমার্থক ও অবিচ্ছেদ্য। এ দুটি দাবিকে একত্র করে পূজার পর গণআন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

    জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, পূজার পর আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্বের কর্মসূচি শুরু হবে। এ পর্যায়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সরকারের পরিকল্পনা ব্যর্থ হবে।