• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    খালেদা জিয়া শিগগিরই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশা করছেন তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমি আশা করি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বেগম জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

    এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলকে বিএনপি বলার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বিএনপি এ কথা বারবার বলে আসছে। পরে তারা নির্বাচনে অংশ নেয়।

    আশা করি এবারও তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।

    সোমবার বিকেলে সিনেমা হল মালিক সংগঠনের নেতারা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ সময় উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবির খোন্দকার।

    হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণ অংশগ্রহণ করেছে কি না তার চেয়ে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।

    বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করলেও বাংলাদেশে যথাসময়ে জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    সরকার চায় বিএনপি নির্বাচনে আসুক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই তারা নির্বাচনে আসুক, সেজন্য বারবার ডাকছি। কিন্তু তারা বলল, ‘তুমি নাচতে না জানলে উঠোনটা একটা বাঁকের মতো, তাই নাচের পরিবেশ নেই বলে আমি নাচব না।’ অর্থাৎ নির্বাচনে অংশ নেব না।

    যদি তারা এত জনপ্রিয় হয়, তাহলে তাদের নির্বাচন করা হোক।

    মন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী স্বচ্ছ নির্বাচনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যত কোনো ক্ষমতা নেই, এমনকি একজন কনস্টেবল বা এসিল্যান্ডের ডেপুটিও নেই। এই ব্যবস্থার প্রতি তাদের আস্থা না থাকলে দেশ, সমাজ, রাষ্ট্রের প্রতি তাদের আস্থা নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন- দেশের প্রতি আস্থা না থাকায় পাকিস্তান ভালো ছিল।

    বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মহান প্রভুর কাছে প্রার্থনা করি, বেগম জিয়া যেন যথারীতি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

    এমনকি অতীতে বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে বিএনপি বলেছিল এবং মেডিকেল টিমও একই ধরনের ব্রিফিং দিয়েছিল যে বেগম জিয়া মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন এবং তাকে বিদেশে না নিয়ে গেলে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু আল্লাহর রহমতে বাংলাদেশি চিকিৎসকদের মেধাবী চিকিৎসা ও যত্নে প্রতিবারই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম জিয়া যাতে সর্বোচ্চ পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা পান সেজন্য সরকার আন্তরিক এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করছে। দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতালে তিনি তার ইচ্ছা অনুযায়ী চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং সরকারও বলেছে যে বাইরের কোনো চিকিৎসকের প্রয়োজন হলে তারা আনতে পারবে। আর বিদেশে পাঠানো আদালতের এখতিয়ার। যদি তা করতে হয় তাহলে তারা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।