• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দি করে গণতন্ত্রকে বন্দী করেছে: প্রিন্স

    সরকার দেশবাসীর মতো খালেদা জিয়াকে নিয়ে কৌশল খেলছে অভিযোগ করে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। সম্প্রতি বিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তারই প্রমাণ দেয়।

    সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের নতুন বাজারের হরি কিশোর রায় সড়কে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ উত্তর, দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি যৌথভাবে এ সমাবেশের আয়োজন করে।

    সমাবেশে ইমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি একে অপরের পরিপূরক। সে কারণে বিভক্ত সরকার জোরপূর্বক বেগম খালেদা জিয়াকে আটক করে গণতন্ত্রকে কারাগারে আটকে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসা হচ্ছে না।

    উন্নত চিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে নিয়ে যাওয়া না হলে তাকে বাঁচানো যাবে না। কিন্তু প্রতিহিংসাপরায়ণ অমানবিক সরকার রাজনৈতিক কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দিয়ে উন্নত চিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।

    তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে সরকার সুচিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বেগম খালেদা জিয়াকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এখন বেগম খালেদা জিয়ার কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায়ভার সব সরকারকেই বহন করতে হবে।

    জনগণ সরকারকে ছাড়বে না।

    বেগম খালেদা জিয়ার জন্য প্রতিটি অবস্থান থেকে সবাইকে দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে প্রিন্স বলেন, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলন চলছে। সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, অবৈধ সংসদ বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে গণ-বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে। সরকার জনগণের দাবি উপেক্ষা করে দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখলে, নির্বাচনের নামে প্রহসন চালাতে চাইলে গণবিস্ফোরণ ঘটবে।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিএনপি নেতাদের জারি করার হুমকির প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনতার আন্দোলনে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ নেতারা সন্ত্রাসী ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন।

       হুমকির দিন শেষ। জনগণের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ না করলে আঙুলে ঘি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জনগণ জানে। দমন-পীড়ন বন্ধে তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

    ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম প্রমুখ। , দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, কাজী রানা প্রমুখ।