• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    পিকে হালদারের নামে ৩৬টি মামলার প্রথম রায় রোববার

    জ্ঞাত সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভারতে কারাগারে থাকা গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ পর্যন্ত তিনটি ৩৬টি মামলা করেছে। আয়ের বাইরে, মানি লন্ডারিং। এর মধ্যে ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অবৈধ দখল ও পাচারের অভিযোগে প্রথম রায় আগামীকাল রোববার।

    ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

    এ মামলায় পিকে হালদারসহ মোট আসামি ১৪ জন।

    এদের মধ্যে চারজন কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।

    পিকে হালদারসহ আরও ১০ অভিযুক্ত পলাতক। অন্য পলাতক আসামিরা হলেন পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজীব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

    আসামিদের বিরুদ্ধে ৪২৫.৭৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের জন্য দুদক আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৭(১) এবং সেই সম্পদ পাচারের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ধারা ৪(২)(৩) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। দুটি অভিযোগে দুদক আইনের ধারা ২৭(১) এর অধীনে সর্বোচ্চ ১০ বছর এবং মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারায় ১২ বছরের কারাদণ্ড রয়েছে।

    এর আগে গত ৪ অক্টোবর এ মামলায় দুদক ও আসামিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিন আদালত রায়ের জন্য ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

    গত ২০ জুলাই মামলার শুনানি শেষ হয়। চার্জশিটে ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এরপর ২৬ জুলাই কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় বিচার চেয়েছিলেন। তবে পিকে হালদার ও বাকিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনে কথা বলেননি। এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার তার দখলে রেখেছেন ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ। যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ধারা ২৭(১) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অপরাধের আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা এবং নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন করা বা গোপন করা, অর্থ পাচারের স্থানান্তর, রূপান্তর এবং স্থানান্তর। অপরাধ

    মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার সম্পদ অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা) কানাডায় পাচার করেছেন বলে জানা গেছে। তদন্তকালে তার বিরুদ্ধে ৬৮০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ পায় দুদক।