অর্থনীতি

২০৪০ সালের মধ্যে শীর্ষ ২০ অর্থনীতির একটি বাংলাদেশ

যুক্তরাজ্যের ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে বলেছে যে বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ২০টি অর্থনীতির একটি হবে। বাংলাদেশের বাজারের আকার, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কিছু সম্ভাবনাময় খাতের ওপর ভিত্তি করে ইকোনমিস্ট গ্রুপের গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এই সম্ভাবনা।

ফলে বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগকারীদের পছন্দের গন্তব্য হতে পারে। মূলত, বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে চীনা বিনিয়োগকারীদের পছন্দের গন্তব্য হতে পারে এমন দেশগুলির সম্ভাবনা বিবেচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

দ্য ইকোনমিস্ট গ্রুপ, যেটি প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে, যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান।

চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় হতে পারে এমন দেশগুলোকে ইআইইউ  র‌্যাঙ্ক করেছে।

তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১২তম। ২০১৩ সালের ৫২তম অবস্থানের তুলনায় এবার অনেকটাই এগিয়ে।

স্পষ্টতই, চীনা বিনিয়োগকারীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আগের চেয়ে উজ্জ্বল।

প্রতিবেদনে ভোক্তা ইলেকট্রনিক্স, তথ্য প্রযুক্তি সেবা, টেলিযোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং অটোমোবাইল শিল্পকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য বিনিয়োগ খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইআইইউ শ্রেণীবিভাগে আরও কয়েকটি উপবিভাগের উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে বাজার সম্প্রসারণ বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় গন্তব্য দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।

প্রথম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশের পরে রয়েছে যথাক্রমে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, মিশর, ভারত ও তানজানিয়া।

সাপ্লাই চেইনের উন্নয়ন বিনিয়োগে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। এই তালিকায় শীর্ষ দেশ সিঙ্গাপুর। এর পরে রয়েছে যথাক্রমে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো এবং মিশর।

আরেকটি উপ-সূচকে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ। এটি এমন দেশ যেখানে ঝুঁকি কম কিন্তু উচ্চ সুযোগ রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের পরে রয়েছে যথাক্রমে কম্বোডিয়া, কলম্বিয়া, মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া ও ইসরায়েল।

যেসব দেশে বিনিয়োগের সবচেয়ে বেশি সুযোগ রয়েছে সে দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। ভারতের শীর্ষ অবস্থান। এর পরেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, ব্রাজিল এবং তাইওয়ান।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী এক দশকে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত জনসংখ্যার আকার ৫ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। অনেক দেশের বিনিয়োগকারীরা এই বাজার ধরতে চায়।