• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ড.ইউনূস ইস্যুতে যারা বক্তব্য দিচ্ছেন তাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাবি নীল দলের

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক মোর্চার নীল দল এক বিবৃতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বাংলাদেশের আইন ও রীতিনীতিকে সম্মান করার এবং আইনি ও সাংবিধানিক বিধান বোঝার জন্য ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

    একই সঙ্গে নীল দলের বক্তব্য। ইউনূসের পক্ষে দেওয়া বক্তব্যকে ‘অযাচিত ও অনিচ্ছাকৃত’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষক সমাজ বিবৃতি দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিচারিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

    রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) নীল দলের ৮৬৬ জন শিক্ষক একমত হন এবং নীল দলের  আহ্বায়ক অধ্যাপক ডাঃ সীতেশ চন্দ্র বাছার, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আমজাদ আলী ও অধ্যাপক ডাঃ মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ।

    বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের ওপর আঘাত হানা হচ্ছে দাবি করে মুহাম্মদ ইউনূসের স্বার্থে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, তা ভিত্তিহীন ও ভিত্তিহীন ।

    দেশের প্রচলিত আইনে চলমান মামলার বিষয়ে এ ধরনের বক্তব্য আইনের শাসন ও মানবাধিকারের পরিপন্থী। এটি আন্তর্জাতিক আইন, রীতিনীতি এবং শিষ্টাচারের পরিপন্থী এবং একটি রাষ্ট্রের স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ ও সার্বভৌমত্বের ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

    জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণা, ফরাসি বিপ্লবের প্রেক্ষাপট, ব্রিটিশ বিল অফ রাইটস, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং খসড়া প্রণয়নসহ বিশ্বের সকল ঐতিহাসিক পরিবর্তনের মৌলিক দর্শন। সংবিধানের, নাগরিকদের আইনি সমতা নিশ্চিত করা।

    ঘোষণাকারীরা তাদের নিজ নিজ দেশের আইন মেনে চলা এবং নীতিগত নাগরিক বলেও পরিচিত। ফলে এ ধরনের পক্ষপাতমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে তারা তাদের নীতি ও আদর্শকে অস্বীকার করেছে।

    ইউনূসের পক্ষে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বদের বক্তব্য আইন ও বিচারিক নীতির লঙ্ঘন বলে দাবি করেছেন ঢাবির নীল দল।