ট্রলি-অটোরিকশার ধাক্কায় গর্ভবতী মহিলা সহ দুজন নিহত হয়েছেন
প্রসব ব্যথার কারণে নোয়াখালীর চাটখিলের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পথে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা এবং একটি ইট ভর্তি ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষে গর্ভবতী মহিলা সহ দুজন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল দশটার দিকে নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের চাটখিল-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পুল নং-এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন উপজেলার রামনারায়ণপুর গ্রামের মো: সোহাগের স্ত্রী নয় মাসের গর্ভবতী সুলতানা আক্তার এবং পূর্ব শোয়ালিয়া গ্রামের অটোরিকশা চালক আবদুল আজিজের ছেলে ইদ্রিস মিয়া (৪০)
স্থানীয় ও পুলিশ জানায়, সুলতানা আক্তারের মা সালেহা আক্তার তাকে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় চটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চাটখিল পৌরসভার ১১ নম্বর পুলে পৌঁছানোর পরে তাদের নিয়ে আসা অটোরিকশা ইটের বোঝাই ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। অটোরিকশাটি রাস্তার ধারে পড়ে। সুলতানা আক্তার ও অটোরিকশা চালক ইদ্রিস মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ ঘটনায় সুলতানা আক্তারের মা সালেহা আক্তার (৬০) আহত হয়েছেন। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সুলতানার মা সালেহা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মেয়ে সুলতানা আক্তার তার প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে পেলেন না। আমার মেয়ে ও তার অনাগত শিশু সড়ক দুর্ঘটনায় অকালে মারা গিয়েছে। ‘তিনি ট্রলি চালকের শাস্তির দাবি করেন।চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো: শহিদুল ইসলাম নয়ন জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক গর্ভবতী মহিলা, অটোরিকশা চালক ও আহত অপর এক মহিলাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মৃত মহিলার অনাগত সন্তানও মারা যায়। আহত মহিলাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ট্রলিটি আটক করা হলেও চালক পালাতে সক্ষম হন। তাকে পাওয়ার চেষ্টা করছি। এই ঘটনায় একটি অপ্রাকৃত মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।