• বাংলা
  • English
  • রাজনীতি

    বিনা বাধায়  ঢাকায় বিভিন্ন জেলায় বিএনপির নেতাকর্মীরা

    সরকার পতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীতে গণসংযোগ করবে বিএনপি। সমাবেশে বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীদের আকৃষ্ট করতে চান বলে জানিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। ফলে সরকার নেতাকর্মীদের সমাবেশে আসতে বাধা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। এ ছাড়া বিএনপি নেতারা পথে পথে পুলিশের হাতে হয়রানি বা হামলার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। তাই সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সড়ক, রেল ও নৌপথে আগাম ঢাকায় প্রবেশ করছেন বলে জানা গেছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহর থেকে ঢাকাগামী বাসে হঠাৎ করে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে কোথাও তাদের থামানোর খবর পাওয়া যায়নি।

    চট্টগ্রাম: এরই মধ্যে চট্টগ্রাম নগরী ও আশপাশের জেলা থেকে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাকায় গেছেন। জনসমাগমকে সামনে রেখে ঢাকাগামী বাসে হঠাৎ করে যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, অতীতে যারা ঢাকায় গেছেন তাদের কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি।

    বিএনপি নেতারা জানান, বাধার আশঙ্কায় চট্টগ্রামের ওয়ার্ড পর্যায় থেকে নেতাকর্মীদের একাধিক গ্রুপে বিভক্ত করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর জন্য ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় বিত্তবান ও স্বাবলম্বী নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে কয়েকজন কর্মী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছেন। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন জানান, বিএনপির চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার প্রায় ১৫ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যেতে পারেন। ঢাকায় তারা বিভিন্ন হোটেলের পাশাপাশি আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে থাকেন।

    সিলেট: বাধা ও হয়রানির ভয়ে ছোট ছোট দলে বিভক্ত বিএনপি নেতারা একাই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, সিলেট থেকে নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দ মতো ঢাকায় যাবেন। এটা বাধ্যতামূলক নয়।

    জেলা বিএনপির সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী ও নগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসেন জানান, অনেক নেতাকর্মী ব্যক্তিগতভাবে বাস, ট্রেন বা গাড়িতে করে ঢাকায় যাচ্ছেন। সিলেট বিভাগ থেকে ৫-৭ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করছেন তারা।

    বগুড়া: পরিবহন ধর্মঘটের ভয়ে নানাভাবে ঢাকায় যাচ্ছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে এখন পর্যন্ত ঢাকায় যেতে কোনো বাধা আসেনি। জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম খায়রুল বাসার জানান, ঢাকার মেগা সভায় বগুড়া থেকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী যোগ দেবেন, যাদের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। এরই মধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী।

    বগুড়া সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল বলেন, পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালাচ্ছে। তারা যাতে ঢাকার সমাবেশে যেতে না পারে সেজন্য পুলিশ নানা কৌশলে তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে।

    বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আক্তার জানান, নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ইচ্ছা করে কাউকে আটক করতে চায় না। পটুয়াখালী: জনসভায় যোগ দিতে ঢাকায় গেছেন জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শ্রমিকরাও বাস ও লঞ্চে করে ঢাকায় যাচ্ছেন। জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী আশফাকুর রহমান বিপ্লব বলেন, এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের কোনো পুলিশি গ্রেপ্তার ও হুমকি নেই।

    ফেনী: বিভিন্ন উপজেলা ও সদর এলাকা থেকে গতকাল কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি বাস ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী জানান, সাধারণ সভার ঘোষণার পর থেকেই দলের নেতাকর্মীরা ঢাকার দিকে রওনা হয়েছেন। তারা হোটেল, মেসে বা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকবেন। অনেকে বিএনপি অফিস বা সভাস্থলে তাঁবু ফেলার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন।