• বাংলা
  • English
  • বিবিধ

    উদ্যোগ।কর্ণফুলীর পাড়ে থাকবে পার্ক মুক্তমঞ্চ, সাম্পান জাদুঘর

    দখল ও দূষণের কবলে পড়া কর্ণফুলী নদী রক্ষায় ধারাবাহিক উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। নদীর তীরবর্তী দখলকৃত সরকারি জমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে পার্ক, ওয়াকওয়ে, ফুটবল ও ভলিবল মাঠ নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এখানে পৃথক টেনিস এবং বাস্কেটবল কোর্ট রয়েছে। শিশুদের জন্য আলাদা জোন থাকবে; যেখানে শিশু-কিশোররা তাদের পছন্দ মতো খেলাধুলা করার সুযোগ পাবে। নদীর তীরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা হবে। কর্ণফুলী হেরিটেজ সাম্পান জাদুঘরও থাকবে; ফেরিস হুইল বসবে।

    চট্টগ্রাম নগরীর জীবনদান কারী নদী কর্ণফুলীকে দখলদারদের হাত থেকে বাঁচাতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এখানে অনুষ্ঠিত হতে থাকা মাঠ ও মুক্তমঞ্চে বছরব্যাপী চলবে নানা অনুষ্ঠান। দর্শক গ্যালারিও থাকবে। নদীর তীর ঘিরে নতুন এ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে কর্নফ্লাওয়ার রক্ষায় সচেতনতা যেমন বাড়বে, তেমনি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডও বেগবান হবে। একই সময়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে নগরীর ফিরিঙ্গিবাজারে নদী তীরবর্তী এলাকা পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

    জানা গেছে, সম্প্রতি মেয়র ফিরিঙ্গিবাজারে নদীতীর এলাকা পরিদর্শনে গেলে তাকে পুরো পরিকল্পনার সম্ভাব্য মডেল দেওয়া হয়। মেয়র বলেন, এ প্রকল্পে সিটি করপোরেশন জেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করবে। মেয়র রেজাউল করিম বলেন, নদীর ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও দখল ধরে রাখতে বেগ পেতে হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে আবারো আধিপত্য বিস্তার করছে। এই বৃত্ত ভাঙতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জেলা প্রশাসনের প্রস্তাব ও পরিকল্পনা আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। এই উদ্যোগকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেওয়া হবে।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, নদী দখল ও দূষিত করার জন্য আদালতের নির্দেশ রয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনে আমরা ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্থাপনা ধ্বংস করেছি, কিন্তু প্রভাবশালীরা আবারও নদীর তীর দখল করে নিচ্ছে। তাই আমরা সচেতনতা বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছি। এই সচেতনতা বাড়লে নতুন করে চিপা পার্ক গড়ে উঠবে। নদী রক্ষায় এগিয়ে আসবে তৃণমূল।

    জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগে খুশি কর্ণফুলী গ্রামের মানুষ। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা সাইদ আল হাফিজ বলেন, নদী রক্ষায় সচেতনতা বাড়াতে হবে। এর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করলে জনমত তৈরি হবে। পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ এ ধরনের জনমত তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

    এর আগেও কর্ণফুলী নদীর তীর দখল ও দূষণমুক্ত রাখতে অনেক সংগঠন অনেক মিছিল, সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম, গ্রামীণ পরিবেশ ও কৃষি উন্নয়ন সমিতি, সাম্পান মাঝি কল্যাণ ফেডারেশন ও ইউনাইটেড সোশ্যাল নেটওয়ার্ক যৌথভাবে কর্ণফুলী রক্ষায় মানববন্ধন করে।