• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    ১০ দিনের শাহাদাতে কারবালা মাহফিলে যোগদান করবেন বিশ্ববরেন্য ইসলামীক স্কলারবৃন্দ।

    বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে আহলে বায়তে রাসুলের স্মরণে আগামী ২০ জুলাই’ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল। দশদিন ব্যাপী ৩৮তম মাহফিলে বিশ্ববরেণ্য ইসলামিক স্কলার, পীর মাশায়েখ আহলে বায়তে রসুলের মান-মর্যাদা নিয়ে আলোচনা করবেন। মাহফিলের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    গত বুধবার রাতে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন শাহাদাত-এ-কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সমাজসেবায় একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পপতি সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। আহলে বায়তের শানে ১ থেকে ১০ মহররম পর্যন্ত আয়োজিত মাহফিল সফল করতে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান নবী প্রেমিকদের উপস্থিত হওয়ার বিনিত আহŸান জানিয়েছেন তিনি। মাহফিলে বাগদাদ থেকে বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী(রা:) দরবারের সাজ্জাদানশীর ও সরাসরি বংশধর শাহসুফি সৈয়দ আফিফ উদ্দিন আল-মনসুর আল-জিলানী, ভারতের কাছওয়াসা দরবার শরীফের গাজীয়ে মিল্লাত সৈয়দ হাসেমী মিয়া আল-জিলানী ও সৈয়দ নুরানী মিয়া আল-জিলানী, কোলকাতার টিপু সুলতান জামে মসজিদের খতিব শাহসুফি সাখাওয়াত হোসেন বরকতী সহ বিশ^বরেন্য স্কলারবৃন্দ অংগ্রহন করবেন তাছাড়া দেশের ইসলামিক স্কলারগণ প্রতিদিন বক্তব্য রাখবেন।
    মাহফিলে প্রতিদিন পীর মাশায়েক, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও দেশবরেণ্য আলেমগণ উপস্থিত থাকবেন।
    প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, আগামী ২০ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত প্রতিদিন বাদ আছর আহলে বায়তে রাসুলের উপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। দেশবরেণ্য আলেমদের পাশাপাশি প্রতিদিন বিদেশি ইসলামিক স্কলারগণ বক্তব্য রাখবেন। মাহফিলে যোগদান করে আহলে বায়তে রাসুলের মহব্বত অন্তরে ধারণ করে দু’জাহানের কামিয়াবি হাসিল করার আহŸান জানানো হয়।
    পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারী প্রফেসর কামাল উদ্দিন আহমদের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে অনজুমান ট্রাষ্টের সেক্রেটারী জেনারেল আনোয়ার হোসেন, জমিয়তুল ফালাহ মসজিদের খতিব মওলানা আবু তালেব মোঃ আলাউদ্দিন. পিএইচপি ফ্যামিলির পরিচালক ও মাহফিলের প্রধান সমন্বয়ক আলী হোসেন সোহাগ,গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, মাহফিলের প্রতিষ্ঠাতা জালাল উদ্দিন আল-কাদেরী(র.) সন্তান ব্যরিষ্টার আবু সাঈদ মো: কাশেম ও আবু সাঈদ মো: হামেদ, সহ সভাপতি খোরশেদুর রহমান, সিরাজুল মোস্তফা, মোহম্মদ সাইফুদ্দিন, ব্যাংকার এসকান্দর আলম, জাফর আহমদ সওদাগর, আবদুল হাই মাসুম, দিলশাদ আহমেদ, ড.মাওলানা জাফর উল্লাহ, হাফেজ সালামত উল্লাহ, এস এম সফি, ক্যপ্টেন এনামুল হক, মাহবুবুল আলম, খোরশেদ আলী চৌঃ, হাফেজ আহমাদুল হক, হাফেজ জালার উদ্দিন, শাহেদ করিম, মাইনুদ্দিন মিঠু, সাহাবুদ্দিন, জহির উদ্দিন, শরীফ উদ্দিন জংগী, অধ্যাপক অহিদুল আলম, অধ্যাপক কায়সার হামিদ, সাইফুল হক, আলহাজ খোরশেদ, নাজিব আশরাফ প্রমুখ সহ বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানসীন, আওলাদ ও পরিষদের নেতৃবৃন্দ।উপস্থিত ছিলেন।