অর্থনীতি

রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের মুনাফায় মিশ্র প্রবণতা

সংকট সত্ত্বেও বিভিন্ন আর্থিক সূচকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক তুলনামূলকভাবে ভালো করেছে। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সেনালী ও রূপালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের মুনাফা সামান্য কমেছে।

এদিকে নানা অনিয়মের কারণে মুনাফার দিক থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছে আলোচনায় থাকা জনতা ব্যাংক। ক্রিসেন্ট লেদার, অ্যাননটেক্স, বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো বড় ধরনের অনিয়মের কারণে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা কমেছে।

 প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে সোনালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা ছিল ১ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল ১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায়, গত জুন শেষে আমানত ১০,৪১৩ কোটি টাকা বেড়ে ১,৪৮,৭৮৬ কোটি টাকা হয়েছে। ঋণের অবস্থা ৭৫ হাজার ৬৫ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ৯০ হাজার ৮২ কোটি টাকা হয়েছে।

সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম বলেন, বিভিন্ন সংকটের মধ্যেও সোনালী ব্যাংক ভালো করার মূল কারণ হলো সব পর্যায়ে একটি টার্গেট দেওয়া হয়। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো ত্রুটির জন্য জবাবদিহি করা হচ্ছে। এনপিএল কমেছে এবং ভালো ঋণ বেড়েছে। ফলে লাভ বেড়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক গত বছর আমানতের ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার সময় উচ্চ সুদে অনেক টাকা চার্জ করেছিল। এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংক উচ্চ সুদের আমানত কমানোর জন্য সতর্ক করে চিঠি দেয়। এখন সেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অনেক উচ্চ সুদের আমানত পরিত্যক্ত হওয়ায় আগের বছরের ১,৬১০,০০০ কোটি টাকা থেকে আমানত কমেছে ৯৯,৭৮০ কোটি টাকা। একই সময়ে ঋণ আগের বছরের জুনে ৬৬ হাজার ১২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৫ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। তবে পরিচালন মুনাফা আগের বছরের ৮৮০ কোটি টাকা থেকে সামান্য কমে ৮৩২ কোটি টাকা হয়েছে।

মুনাফা বৃদ্ধির দিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে রূপালী ব্যাংক। প্রথম ৬ মাসে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল ৩৪০ কোটি টাকা। আগের বছর যা ছিল মাত্র ৫৭ কোটি টাকা। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় গত জুন শেষে আমানত ১৫ হাজার কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৬০২ কোটি টাকা। ঋণের পরিমাণ ৮ হাজার কোটি টাকার মতো

বেড়েছে ৪৫ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা। জানা গেছে, জুন শেষে গত ৬ মাসে মাত্র ২৪৬ কোটি টাকা মুনাফা করেছে জনতা ব্যাংক। আগের বছরের প্রথম ৬ মাসে ৪০০ কোটি টাকা।