সেই মুনতাকিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
স্ত্রীকে মারধর ও যৌতুকের দাবিতে দায়ের করা মামলায় সেই আলোচিত সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। সোমবার (৩ জুন) চট্টগ্রাম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসেন জুনায়েদের আদালত এই আদেশ দেন।
সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিম (২৪), ফটিকছড়ি উপজেলার ধর্মপুর এলাকার সৈয়দ মৌলনা মোহাম্মদ খালেদ আজমের ছেলে। তিনি হাটহাজারী থানার ফতেয়াবাদ লালিয়ারহাট তৈয়বিয়া পাড়ায় বসবাস করে।
গ্রেফতারি পরোয়ানার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম জাফর আলম। তিনি বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিমের স্ত্রী হাবীবা আকতারকে মারধর ও যৌতুক দাবি করাই আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ইসলাম ধর্মের বিধি বিধান মোতাবেক সামাজিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে সৈয়দ মোহাম্মদ মুনতাকিমের সঙ্গে হাবীবা আকতারের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার কাবিনে বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে স্বামী। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১১ জুন ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে জোরপূর্বক স্ত্রীকে পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় এবং বলে দেয় ‘এক সপ্তাহ পর ৫ লাখ টাকাসহ আনতে যাব’। গত ১৭ জুন বিকেলে স্ত্রীর বাড়িতে মুনতাকিম গেলে ব্যবসার জন্য পুনরায় ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। স্ত্রী যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মুনতাকিম স্ত্রীকে এলোপাতাড়ী কিল ঘুসি ও শরীরের বিভিন্ন জায়াগায় মারাত্মকভাবে জখম করে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্ত্রীর মা,বাবা ও বোন মুনতাকিমকে জিজ্ঞেস করে কেন হাবীবাকে মারধর করছে, উত্তরে মুনতাকিম বলেন, আমি ব্যবসা করতে পারতেছি না টাকার জন্য, তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে বলেছি। যৌতুকের টাকা না পেলে হাবীবাকে সংসারে ফিরিয়ে নিব না বলে জানিয়ে বের হয়ে যান মুনতাকিম। এছাড়াও স্ত্রীকে তালাক দিয়ে যৌতুক নিয়ে বিবাহ করার কথাও বলেন। এ ঘটনার পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে কোন ধরণের যোগাযোগ ও খোঁজ রাখছে না মুনতাকিম।
উল্লেখ্য, মুনতাকিম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস ফি কমানোর দাবিতে আন্দোলন করে। আন্দোলন থেকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে নির্যাতনের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি নগরের পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও এসআই আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে মামলা করে সারাদেশে আলোচনায় এসেছিলেন।