জাতীয়

সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী ।আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম কমলেও দেশীয় বাজারে কমছে না

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, সয়াবিন, পাম তেল ও চিনির মতো আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম সবসময় আন্তর্জাতিক বাজারে সমন্বয় করা হয়। কিন্তু দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধি যত দ্রুত প্রতিফলিত হচ্ছে, কমছে তত দ্রুত নয়।

সোমবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর টেবিলে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরের টেবিল উত্থাপিত হয়।

জাতীয় পার্টির সদস্য নাসরীন জাহান রত্নার প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেও দেশীয় বাজারে পণ্যের দাম কমেনি। কিন্তু এই তথ্য সঠিক নয়।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সুপারি রপ্তানি শুরু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কাঁচা পান রপ্তানির পরিকল্পনা করছে সরকার। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছ থেকে সুপারি রপ্তানির বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর সালমোনেলামুক্ত পান সংগ্রহে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, রপ্তানির সব বাধা পেরিয়ে সম্প্রতি ইংল্যান্ডে সুপারি রপ্তানি শুরু হয়েছে।

জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৭ লাখ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। তিনি বলেন, দেশে চিনি ও পেঁয়াজের বর্তমান বার্ষিক চাহিদা যথাক্রমে ২০ থেকে ২.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন এবং ২৫ থেকে ২৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। চিনি ও পেঁয়াজের উৎপাদন প্রায় ২১ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৮ লাখ ১১ হাজার মেট্রিক টন।

তিনি বলেন, চিনির অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খুবই নগণ্য হওয়ায় চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। তবে আমদানি চালু না হলে স্থানীয় সরবরাহে চাপের কারণে স্থানীয় দামে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমদানি খোলা থাকলে ২০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থানীয়ভাবে পেঁয়াজ উৎপাদন হলেও আংশিক আমদানি নির্ভরতা রয়েছে, আমদানি নির্ভরতার কারণে পেঁয়াজের আমদানি মূল্য স্থানীয় বাজারে দাম নির্ধারণে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম রক্ষার জন্য সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র (আইপি) দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতে এ বছর পেঁয়াজের ভালো উৎপাদন হওয়ায় পেঁয়াজের দাম অনেকাংশে কমেছে। আইপি ইস্যুটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে কারণ সেই দামে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে দেশীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।