যমুনা নদী সংক্ষিপ্তকরণ প্রকল্পের ফাইল হাইকোর্টে
যমুনা নদী সংক্ষিপ্তকরণ প্রকল্প সংক্রান্ত সমস্ত নথি রবিবার হাইকোর্টে দাখিল করা হবে। এরই মধ্যে নথি হাইকোর্টে আনা হয়েছে।
এসব নথি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট আইনগত সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, ২৮ মে যমুনা নদীকে ছোট করার প্রকল্পের ফাইল তলব করেছিল হাইকোর্ট। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে (পাউবো) ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সব নথি আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার পাউবো থেকে হাইকোর্টে নথি পাঠানো হয়।
১১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক ‘যমুনা নদী সঙ্কুচিত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।
গত ২১ মে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট যমুনা নদীকে সংক্ষিপ্ত করার প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছিল। প্রতিবেদনটি সত্য কিনা এবং প্রকল্পটি চূড়ান্ত হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার এসব তথ্য জানাতে আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সময় হাইকোর্ট প্রকল্পের সব ফাইল তলব করেন।
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, যমুনা নদী প্রতি বছরই বড় হচ্ছে। বর্ষাকালে নদী ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর দরকার নেই। তাই এর প্রস্থ কমে দাঁড়াবে সাড়ে ছয় কিলোমিটার। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক জলপ্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার ধারণাটি এসেছে খোদ জলসম্পদ মন্ত্রকের প্রধানদের কাছ থেকে। এ জন্য তারা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রণয়ন করেছে। বিশেষজ্ঞরা এই প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হবে ৮৯৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকার দেবে ২১৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। বাস্তবায়নের সময়কাল বর্তমান বছর থেকে ২০২৬ পর্যন্ত।