• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    চট্টগ্রাম ১০ আসনের সংসদ সদস্য ড. আফছারুল আমিন ইন্তেকাল করেছেন

    ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমিন ইন্তেকাল করেছেন। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তার ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে। প্রথমে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা করান। এরপর দেশে নিয়মিত চিকিৎসা নেন তিনি।

    চট্টগ্রাম হানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক জানান, শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আফছারুল আমিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ চট্টগ্রাম নগরীর পাদদেশে ফয়লাতলী এলাকায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তার দ্বিতীয় জানাযা বাদ আছর শহরের জামিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে এবং তৃতীয় জানাযা বাদ এশা তার বাড়ি সংলগ্ন স্থানীয় স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    ড. আফছারুল আমিন ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পাঁচ ভাই, চার বোন এবং অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

    আফছারুল আমিনের মৃত্যুতে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পায়রুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

    উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ড. আফছারুল আমিন। তিনি নৌপরিবহন এবং পরবর্তীতে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বর্তমান চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়া বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা মৃত্যুর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন।