• বাংলা
  • English
  • জাতীয়

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তালিকা।আ’লীগের এমপি দবিরুল বনভূমি দখলে সেরা দশে রয়েছেন

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের তালিকা।আ’লীগের এমপি দবিরুল বনভূমি দখলে সেরা দশে রয়েছেন

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অবৈধভাবে দেশের বন দখলে নেওয়া শীর্ষ দশ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে। এই তালিকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের নামও রয়েছে। তিনি সপ্তমবারের মতো জাতীয় পরিষদে ঠাকুরগাঁও -২ আসনের প্রতিনিধিত্ব করছেন। বন জমি দখলকারীদের শীর্ষ দশে তার নাম দ্বিতীয়।

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারাদেশে এক লাখ ৩৮ হাজার ৬১৩ একর জবরদখলে রয়েছে। এর মধ্যে ৮২০ একর স্থায়ী স্থাপনা সহ প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অবৈধ দখলদারদের সংখ্যা ৮৮ হাজার ২১৫ জন। এই তালিকাটি প্রায় পাঁচ হাজার পৃষ্ঠা।

    মন্ত্রণালয় বলেছে এটি দখলদারদের একটি সম্পূর্ণ তালিকা। মাঠপর্যায়ে সমস্ত বন বিভাগের সুরক্ষিত বনভূমিতে দখল সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২২ নভেম্বর বন মন্ত্রণালয় থেকে বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে বৈঠকে জব্দকৃত জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মাঠ পর্যায়ে বন বিভাগের বন কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের কাছে ২,৯৭১ জন উচ্ছেদের প্রস্তাব প্রেরণ করেছেন।

    মাহমুদুল হক মাঝি শীর্ষ দশ বন দখলকারীদের মধ্যে অন্যতম। তার বাবার নাম তাজু মিয়া। কক্সবাজারের চামবাড়িয়া লম্বখালীর বাসিন্দা মাহমুদুল হক মাঝি স্থানীয় রামপুরা মৌজার ৩১৫ একর জমির মালিক। এই জমিতে তিনি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে চিংড়ি চাষ ও লবণ মহলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বন আইনে দুটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।সিলেটের মোঃ কমপানিগঞ্জ বনভূমির শীর্ষ দশ দখলদারদের মধ্যে তিন নম্বরে রয়েছে। কামাল হোসেন। ধলর পাড়ার মুলুক মিয়ার ছেলে কামাল হোসেন মেঘেরগাঁও মৌজার তিনটি স্পটে ৫৬ একর জমি দখল করেছেন। তাকে উচ্ছেদ করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসকের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। দখলদারদের মধ্যে চার নম্বরে রয়েছেন একই এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে হুপা মিয়া। একই মৌজার দুটি স্পটে তিনি ৫৫ একর জমি দখল করেছেন। উচ্ছেদের প্রস্তাব জেলা প্রশাসকের কাছেও পাঠানো হয়েছে বলে বন বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ভদন্না শরণঙ্কর থের শীর্ষ দশে সাত নম্বরে রয়েছে। তাঁর বাবার নাম দিলীপ বড়ুয়া। ফালহারিয়া মৌজার তিনটি স্পটে জোর করে ৫০ একর জমি দখল করেছেন তিনি। বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের বড় ও ছোট, দুটি পাকা ভবন, দুটি টিনের ঘর, রান্নাঘর এবং গাড়ির গ্যারেজের ১৭টি মূর্তি রয়েছে। জায়গা খালি করার জন্য বন দফতর নোটিশ দিয়েছে। সাতটি মামলা রয়েছে i

    মন্তব্য করুন