ঢাকায় ১০২ কি.মি. কালবৈশাখী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা
রাজধানীতে ঘণ্টায় ১০২ কিলোমিটার বেগে বয়ে গেছে কালবৈশাখী ঝড়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. ওমর ফারুক এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিকেলে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০২ কিলোমিটার। তবে আগারগাঁওয়ে ঝড়ের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে ৭৪ কিলোমিটার। ঝড়ের সাথে ছিল বৃষ্টি ও বজ্রপাত। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। রাত ৯টায় ঝড় থেমে গেলেও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আগামী ৭ ঘণ্টার পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অথবা ঝড়ো হাওয়া বা বজ্রঝড় সহ বৃষ্টি। এসব এলাকার সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য স্থানে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। . এসব এলাকার বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শক্তিশালী মৌসুমী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও প্রচণ্ড বজ্রপাতের প্রবল ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ জানান, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ বা আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে বর্ষা প্রবেশ শুরু করবে। এটি সাধারণত টেকনাফ দিয়ে প্রবেশ করে। কখনও কখনও এটি ৪-৫ দিন সময় নেয়। এই বর্ষা প্রবেশের কারণে ঝড় কমে যাবে। এখন যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে, হালকা বৃষ্টি হবে দীর্ঘ সময় ধরে।