সংরক্ষিত বনে আগুন, জানে না বন বিভাগ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আরেকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের বোবারথল এলাকার পেকুয়াচড়ার ৪-৫টি পাহাড়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার দুপুরেও আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। বন বিভাগ এ বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে আগুন নেভানো হয়েছে বলে দাবি করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার উপজেলার দক্ষিণ শাবাজপুর ইউনিয়নের পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের বোবারথল এলাকায় পেকুয়াচড়ার ৪-৫ মণে আগুন লাগে। দর্শনার্থীরা গাছ পুড়তে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
গত বছর একই এলাকায় আগুন লেগেছিল। এরপর ৬ মার্চ পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্টের দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের সমনবাগ এলাকায় আগুন লেগে ১৫-২০ একর গাছ ও ঝোপ পুড়ে যায়। গত ২৫ এপ্রিল কমলগঞ্জের রাজকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কুরমা বিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকালে গাছপালা পুড়তে শুরু করে। এরপর বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে আগুন নেভানো হয়। এর কয়েকদিন আগেও একই উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলছেন, বনাঞ্চল দখলের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আগুন দিচ্ছে। এতে বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে।
পাথারিয়া হিলস রিজার্ভ ফরেস্ট রেঞ্জার শেখর দাস গতকাল বিকেলে বলেন, আগুনের খবর তিনি জানেন না।
স্থানীয় একটি চা বাগানের ব্যবস্থাপক জানান, পেকুয়াচড়ার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগুনের খবর শুনেছেন। তবে এলাকায় কী পরিমাণ আগুন লেগেছে তা তিনি জানতে পারেননি।
দক্ষিণ শাবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাহিদ আহমদ বাবলু জানান, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে তার কাছে কোনো তথ্য নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজারের সমন্বয়ক আসম সালেহ সুহেল বলেন, অনেক সময় বনের আগুন পরিবেশের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পরিবেশ রক্ষায় বন বিভাগ কর্তৃপক্ষের উচিত আগুনের রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ইউএনও সুঞ্জিত কুমার চন্দ জানান, বোবারথল সীমান্তের নোমানস ল্যান্ডে আগুনের সূত্রপাতের প্রভাবে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কিছু অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল বিকেলে স্থানীয়রা আগুন নেভায়।