ধান কাটার উৎসবে আওয়ামী লীগ
সারাদেশে ধান কাটার উৎসবে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। তারা গ্রামের কৃষকদের ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনার সফল বাস্তবায়নে অনেক কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে কৃষকদের পাশে থাকার জন্য বাসাবাড়ির নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন শেখ হাসিনা। গত ১৯ এপ্রিল দলীয় ফোরামের বৈঠকে কার্যত যোগ দিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন। এরপর সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা ধান কাটার উৎসবে যোগ দেন। কোথাও ধান মাড়াই করে দিচ্ছেন কৃষকদের।
এবার দেশে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। তবে বৃষ্টি ও ভূমিধসের আশঙ্কায় বিভিন্ন অঞ্চলে আগাম ধান কাটার উৎসব শুরু হয়েছে। তবে ধান কাটা শ্রমিকদের মজুরি দিতে হিমশিম খাচ্ছে কৃষক। আবার, গত কয়েক বছরে গ্রামীণ শ্রমিকরা শহরে চলে যাওয়ায় ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তীব্র গরমে কৃষকদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে। এ অবস্থায় কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর কৃষক লীগের নেতাকর্মীরা প্রতিটি ইউনিটকে নিজ নিজ এলাকার কৃষকদের পাকা ধান কেটে মাড়াই শেষে গোলায় তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সমীর চাঁদ নিজেও ধান কাটার উৎসবে যোগ দেন। সম্প্রতি তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের উদ্যোগে করিমগঞ্জের গেরাজুর হাওরের কৃষক রমজান মিয়ার এক একর বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করতে অংশ নেন। এ প্রসঙ্গে সমীর চাঁদ বলেন, সারাদেশের নেতাকর্মীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নেতাকর্মীরা স্বেচ্ছায় ধান কেটে মাড়াই শেষে গোলায় তুলে দেওয়ায় কৃষকরা অনেক সুবিধা পাচ্ছেন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিলেরও একই নির্দেশনা ছিল। সম্প্রতি, তারা কৃষকদের ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারাদেশে সংগঠনের শাখাগুলিতে অফিসিয়াল চিঠিও পাঠিয়েছে। নিখিল বলেন, সারাদেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কৃষকদের পক্ষ থেকে ধান কাটছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন। এরই মধ্যে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিলে কৃষকদের ধান কাটার আয়োজনে অংশ নিয়েছেন স্বচ্ছসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু জানান, ধান কাটার মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা এ কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবেন।
এদিকে ধান কাটার উৎসবে শামিল হয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও। সম্প্রতি সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান এক আনুষ্ঠানিক চিঠিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ছাত্র-যুবদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। ইনান বলেন, সারাদেশে এ আহ্বান ব্যাপক সাড়া পাচ্ছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা করোনার সময় কৃষকদের ধান কেটে দেন। একই সঙ্গে লকডাউনে থাকা মানুষদের অক্সিজেন, অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ এবং খাদ্য ও ত্রাণসামগ্রীসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন তারা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, শুধু কৃষকদের ধান কাটার উৎসবই নয়, অতীতে যে কোনো দুর্যোগে সব স্তরের নেতাকর্মীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এটাই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শিক্ষা।